ধামরাইয়ে সাবেক দুই এমপিসহ ৮২ জনের নামে হত্যা মামলা
ঢাকার ধামরাইয়ে কলেজশিক্ষার্থী আফিকুল ইসলাম সাদ হত্যার ঘটনায় সাবেক সংসদ সদস্য বেনজির আহম্মেদ ও এম এ মালেকসহ ৮২ জনের নামে মামলা করা হয়েছে। এ ঘটনায় আরও ৮০-৯০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করেন মামলা করেন নিহত সাদের নানা আজিম উদ্দিন।
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) রাতে ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, মঙ্গলবার (২১ আগস্ট) রাতে ওই শিক্ষার্থীর নানা মামলাটি করেন।
নিহত সাদ ধামরাই পৌর এলাকার কায়েৎপাড়া মহল্লার সফিকুল ইসলামের ছেলে।
মামলার আসামিরা হলেন- ধামরাইয়ের সাবেক সংসদ সদস্য বেনজির আহম্মেদ (৭২) ও এম এ মালেক, পৌর মেয়র গোলাম কবির মোল্লা (৫৮), সাবেক চেয়ারম্যান মো. মোয়ান্দেস হোসেন (৫৫),
আহম্মেদ আল জামান (৬০), মো. এনামুল হক আইয়ুব (৫৮), মিজানুর রহমান মিজান (৫৭), আহম্মাদ হোসেন (৬৮), আব্দুল লতিফ (৬০), মাসুদ লাল্টু (৫৫), সাহেব আলী (৬২), মো. পিপলু (৩০),সওকত হোসেন সাকু (৬৫), হিমায়েত কবির মতি (৫৮), শহিদুল্লাষ (৫৮), আমিনুর রহমান (৪৮), সিরাজুল ইসলাম (২৯), আরিফ হোসেন (৩৭), আহম্মদ আলী (৫০), গনি মিয়া (৪৫), আমজাদ মোল্লাসহ (৪০) ৮২ জন। এছাড়া আরও ৮০-৯০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয় এ মামলায়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ধামরাই হার্ডিঞ্জ স্কুল অ্যান্ড কলেজ গেটের সামনে ৫০০ থেকে ৭০০ ছাত্রছাত্রী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেন। এ সময় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ ও আওয়ামী লীগের অজ্ঞাত আরও আসামিরা আন্দোলনরত ছাত্র-ছাত্রীদের ওপর হামলা চালায়। সে সময় কলেজশিক্ষার্থী সাদের মাথায় গুলি লাগে। পরে শিক্ষার্থীরা আহত অবস্থায় তাকে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেন। এরপর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৮ আগস্ট সকালে তার মৃত্যু হয়।
ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, সাবেক দুই এমপি, মেয়র ও চেয়ারম্যানসহ ৮২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন নিহত শিক্ষার্থীর নানা। এ সময় আরও অজ্ঞাত ৮০-৯০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
লোটন আচার্য্য/এফআরএস