দুর্গোৎসবের বাজেট থেকে বন্যাদুর্গতদের সহায়তা পাঠাল মন্দির কমিটি
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দুর্গোৎসব আয়োজনের বাজেট থেকে বন্যাদুর্গতদের অর্থ সহায়তা পাঠিয়েছে বরিশালের বেশ কয়েকটি মন্দির কমিটি। আরো কয়েকটি কমিটি সহায়তা পাঠাতে তহবিল প্রস্তুত করেছে বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের মাধ্যমে এবং মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে সাহায্যকারী দল পাঠিয়ে বিভিন্ন এলাকায় এ সহায়তা পাঠানো হয়েছে।
বরিশালের সবচেয়ে বড় শ্রী শ্রী শংকর মঠ পূজা উদযাপন কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক তন্ময় দাস বলেছেন, “ফেনী-কুমিল্লাসহ ১০টি জেলায় বন্যায় মানবিক সংকট তৈরী হয়েছে। আমাদের শংকর মঠের পক্ষ থেকে দুর্গোৎসবের জন্য যে বাজেট নির্ধারন করা হয়েছিল তার বড় একটি অংশ বন্যাদুর্গতদের জন্য পাঠানো হয়েছে। সেখানে আমাদের মন্দিরের পক্ষ থেকে সাত সদস্যের একটি স্বেচ্ছাসেবী দলও পাঠানো হয়েছে। আরো কয়েকটি মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে মিলিয়ে প্রায় ২০ হাজার টাকার বেশি পাঠানো হয়েছে। আমরা আরও কিছু কমিটির সাথে যোগাযোগ করেছি এবং সকলের প্রতি আহ্বান রেখেছি দুর্গত এলাকার মানুষের সহায়তায় এগিয়ে আসার জন্য।”
তন্ময় দাস বলেন, “এটি আমাদের মাতৃভূমি। এখানে কারও বিপদে পাশে দাঁড়ানো আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। তাদের বিপদে আমরা যতটুকু পেড়েছি তা দিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছি। আমরা কখনো বিপদে পড়লে হয়তো তারাও এগিয়ে আসবে। এভাবেই আমাদের সম্প্রীতি অটুট থাকবে।”
আরও পড়ুন
বরিশাল সিটি করপোরেশনের ২৭ নং ওয়ার্ডের দক্ষিণারঞ্জন চক্রবর্তীর স্মৃতি দুর্গা মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক অয়ন চক্রবর্তী বলেন, “আমি অর্থ প্রদানকে সহায়তা বলছি না— এটি আমাদের প্রতি দুর্গত এলাকার মানুষের অধিকার। দুর্গা পূজায় আলোকসজ্জা, ভালো পোশাক ক্রয়, সাউন্ড সিস্টেমের পিছনে অর্থ ব্যয় বাধ্যতামূলক নয়। ধর্মীয় যে রীতি রয়েছে সেটি পালন করাই যথেষ্ট। এজন্য আমাদের মন্দিরের পক্ষ থেকে ঐচ্ছিক ব্যয় করার জন্য যা বাজেট ছিল তা বন্যাদুর্গত এলাকার মানুষের জন্য আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে পাঠিয়েছি।”
তিনি বলেন, “পূজা উদযাপনে মূল যে বাজেট ধরা হয়েছিল তার অর্ধেকটা পাঠানো হয়েছে। এছাড়া আরও তহবিল সংগ্রহ করার চেষ্টা করছি।”
এদিকে বরিশাল মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের পক্ষ থেকে জানিয়েছে, বড় বড় সবগুলো মন্দিরের পক্ষ থেকেই তহবিল সংগ্রহ করা হচ্ছে বন্যা দুর্গত এলাকার মানুষের সহায়তার জন্য। তারা বিভিন্ন মাধ্যমে এই সহায়তা পাঠাবেন।
সৈয়দ মেহেদী হাসান/এমটিআই