কুমিল্লায় ভারী বর্ষণে শহরে জলাবদ্ধতা, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
সাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের ফলে টানা কয়েক দিনের ভারী বর্ষণে কুমিল্লার গোমতী নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এ নদীর পানি বিপৎসীমার মাত্র ৯ সেন্টিমিটার নিচে রয়েছে।
এদিকে পানি বাড়ার ফলে জেলার আদর্শ সদর, বুড়িচং ও দেবিদ্বার এলাকার কিছু অঞ্চলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। নদী তীরবর্তী এলাকায় ঘরবাড়িতে পানি ওঠতে শুরু করেছে। ফলে লাখ লাখ মানুষ পানিবন্দি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে কুমিল্লায়।
আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, সাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ এবং সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর ফলে টানা বৃষ্টি হচ্ছে। বুধবার (২১ আগস্ট) সকাল ৬টায় কুমিল্লায় ৫৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আর গত ৭২ ঘণ্টায় রেকর্ড করা হয়েছে ২৭৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত। সাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ দুর্বল হতে থাকলেও মৌসুমি বায়ু সক্রিয় রয়েছে। যার ফলে এ ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকতে পারে আরও ২-৩ দিন।
আবহাওয়া সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, বৃষ্টিপাতের ফলে গোমতী নদীর পানি এতটা বৃদ্ধি হওয়ার কথা নয়। গোমতী নদীর উৎপত্তিস্থল ভারতের ডাম্বল লেকের বাঁধ খুলে দেওয়ার ফলে ক্রমশ পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। ওই লেকের বাঁধ খুলে দিলে কুমিল্লা, ফেনী ও নোয়াখালী অঞ্চল প্লাবিত হয়। ফেনী ও নোয়াখালীতে বন্যা সৃষ্টি হলেও কুমিল্লায় এখন পর্যন্ত তেমন চিত্র চোখে পড়েনি।
কুমিল্লা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী ওয়ালিউজ্জামান ঢাকা পোস্টকে বলেন, আজ দুপুর ১২টার দিকে গোমতী নদীর পানি বিপৎসীমার ৯ সেন্টিমিটার নিচে রয়েছে। প্রতি ঘণ্টায় এ নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে ১২ সেন্টিমিটার।
তিনি আরও বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি টিম নদীর তীরে অবস্থান করে পরিস্থিতি মোকাবিলা করার চেষ্টা করছে। তবে গোমতীর কোথাও বাঁধ ভাঙার তথ্য এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
আরিফ আজগর/এমজেইউ