ফরিদপুরে গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন নিহত, থানায় অগ্নিসংযোগ
শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশ ত্যাগের পর উল্লাসিত জনতার একাংশ জনতা ব্যাংকের মোড়ে সমবেত হয়। এ সময় উল্লাসকারীরা জানতে পারে ছাত্রলীগের কিছু ছেলে ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় আশ্রয় নেয়। সোমবার (৬ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টার দিকে ফরিদপুর কোতয়ালী থানার সামনে এ ঘটনা ঘটে।
বিজ্ঞাপন
এ খবর শুনে জনতার একাংশ থানা ঘেরাও করতে গেলে পুলিশ গুলি চালায়। এতে একজন নিহত হন। নিহত ব্যক্তির নাম মোহাম্মদ সামসু (৬২)। তিনি ফরিদপুর শহরের পূর্ব খাবাসপুর মহল্লার মোহাম্মদ মোতালেবের ছেলে ও বিকাশ পরিবহনের চালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
পরে কোতয়ালী থানার সকল পুলিশ সদস্যকে কঠোর নিরাপত্তায় ফরিদপুর পুলিশ লাইনসে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর বিক্ষোভকারীরা থানায় আগুন ধরিয়ে দেয়।
বিজ্ঞাপন
নিহত ওই ব্যক্তির মরদেহ থানার সামনে বাদামপট্টি সড়কে বই পরিচয় নামে একটি দোকানের সামনে পড়ে থাকতে দেখা যায়। ওই ব্যক্তির মাথায় গুলির আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তার বয়স আনুমানিক ৫৫ বছর হবে। এলাকাবাসীর ধারণা তিনি একজন পথচারী ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, উল্লাসকারীরা জনতা ব্যাংকের মোড়ে উল্লাস করার সময় শুনতে পারেন ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মী কোতয়ালী থানায় আশ্রয় নিয়েছে। এখবর শুনে উল্লাসকারীদের কিছু অংশ জনতা ব্যাংকের মোড় থেক আনুমানিক ১৫০ মিটার দূরে থানার সামনে যায়।
বিজ্ঞাপন
বিক্ষুব্ধ জনতা আশ্রয় নেওয়া নেওয়া ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের তাদের হাতে তুলে দেওয়ার দাবি জানায়। পুলিশ অস্বীকৃতি জানালে তারা থানা ঘেরাও করার উদ্যোগ নিলে পুলিশ গুলি চালায়।
পরে পুলিশ হামলাকারীদের ওপর চড়াও হয়ে কাঁদানে গ্যাস, রাবার বুলেট ছোঁড়ে। এর ফলে শহরের থানার মোড়, জনতা ব্যাংকের মোড়, মহাকালীর মোড় ও আলীপুর মোড়, জনতা ব্যাংকের মোড় ও মুজিব সড়ক এলাকায় সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। পরে ফরিদপুর কোতয়ালী থানার প্রধান ফটকে তারা দিয়ে সকল পুলিশ সদস্যকে পুলিশ লাইনস-এ নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর বিক্ষোভকারীরা ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় আগুন ধরিয়ে দেয়।
এ ব্যাপারে পুলিশের বক্তব্য জানা যায়নি। পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোর্শেদ আলমকে সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটের দিকে এবং এরপর কোতোয়ালি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসানুজ্জামানকে ফোন করা হলে তারা ফোন ধরেননি।
জহির হোসেন/আরকে