ভোলায় ডিসি অফিস, আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আগুন: নিহত ১
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের অসহযোগ কর্মসূচিতে ভোলায় ত্রিমুখী সংর্ঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে জসিম উদ্দিন (৪০) নামে এক পথচারী নিহত হয়েছেন। রোববার (৪ আগস্ট) দুপুর ২টায় ভোলা জেলা শহরের চকবাজার এলাকায় তিনি মারা যান।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নিহতের ছোট ভাই মোহাম্মদ সবুজ। নিহত জসিমউদ্দিন ভোলা পৌর নবীপুর এলাকার তালুকদার মসজিদ গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে। তিনি ভোলার নতুন বাজারে ছাতা মেরামতের কাজ করতেন।
সবুজ জানান, সংঘর্ষ চলাকালীন ভোলার চকবাজারে গুলিবিদ্ধ হয়েছে আমার ভাই। এমন খবর পেয়ে ছুটে যাই খলিফাপট্টির মসজিদের সামনে। সেখানে গিয়ে দেখি আমার ভাইয়ের মাথায় ও বুকে গুলি লেগেছে এবং তিনি মারা গেছেন। এরপর আর লাশ হাসপাতালে নেইনি। তার মরদেহ বাড়িতে নিয়ে এসেছি।
ভোলা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রিপন কুমার সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এখন পর্যন্ত একজন নিহত হওয়ার খবর পেয়েছি আমরা। এছাড়া ৫ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। তারা হলেন, তামিম মাইনুদ্দিন (২৫), মমিন (১৫), রানা হোসেন (৩৪), শাকিল (১৯) ও সৌরভ সাহা (২১)।
এদিন দুপুরে আন্দোলনকারীরা জেলা আওয়ামী লীগ অফিস, জেলা প্রশাসক কার্যালয়, পৌরভবন ও মুক্তিযোদ্ধা ভবনে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর চালান। একপর্যায়ে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এছাড়া জেলা খাদ্য অফিসেও ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
এর আগে আন্দোলনকারীরা সকালে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে। সেখানে তাদের সঙ্গে পুলিশ, ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের সংঘর্ষ শুরু হয়।
সৈয়দ মেহেদী হাসান/এনএইচ