শরীয়তপুরে ছাত্রলীগের ধাওয়ায় মিছিল পণ্ড, ২ শিক্ষার্থীকে মারধর
সারাদেশে চলমান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অংশ হিসেবে গণমিছিল ও বিক্ষোভের আয়োজন করেছেন শরীয়তপুরের জেড এইচ সিকদার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ছাত্রলীগের ধাওয়ায় বিক্ষোভ মিছিলটি পণ্ড হয়ে গেছে। এ সময় মো. আফ্রিদি ও মোশাররফ নামের আন্দোলনের সহ-সমন্বয়ক দুই শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। তবে ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
শনিবার (৩ আগস্ট) বেলা ১১টায় শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার জেড এইচ সিকদার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়। শিক্ষকরাও অংশ নিয়েছিলেন শিক্ষার্থীদের মিছিলে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শরীয়তপুরের সমন্বয়ক দাবি করে রহমত উল্লাহ নেহাল নামে একজন বলেন, যৌক্তিক আন্দোলনকে থামিয়ে দিতে আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে সরকারের পুলিশ বাহিনী নগ্ন হামলা চালিয়েছে। এতে শত-শত ভাই নিহত ও আহত হয়েছেন। আমরা সকল হত্যার বিচার দাবি করছি।
তিনি বলেন, আমাদের প্রতিটি শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশে সরকারদলীয় নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়েছে। হামলাকারীদের বিচারের আওতায় না আনলে আমাদের আন্দোলন চলমান থাকবে।
তিনি আরও বলেন, আজকের শান্তিপূর্ণ মিছিলকে পণ্ড করতে আ.লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন স্থানে আমাদের ভাইদেরকে মারধর করে মিছিলে যোগদানে বাঁধা প্রদান করেছে। সহ-সমন্বয়ক মো. আফ্রিদি ও মোশাররফকে মারধর করেছে। মিছিলের এক পর্যায়ে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ধাওয়া দিলে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
এদিকে ভেদরগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন হিরু বলেন, আমরা কাউকে মারধর করিনি। তারা ছাত্রলীগকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করায় তাদেরকে বুঝিয়ে শুনিয়ে পাঠিয়ে দিয়েছি।
জেড এইচ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও আইন বিভাগের শিক্ষক ইমামুর রহমান বলেন, শিক্ষার্থীদের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য তাদের সাথে আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছি। বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী তাদের এই যৌক্তিক দাবিকে আমি সমর্থন করি।
শরীয়তপুর সহকারী পুলিশ সুপার মো. মুশফিকুর রহিম বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে ছাত্ররা তাদের কর্মসূচি পালন করেছেন। তাদের কোন বাঁধা দেওয়ার ঘটনা ঘটেনি।
সাইফ রুদাদ/এনটি