আবু সাঈদকে ‘বীর মুক্তিসেনা’ বললেন জিএম কাদের
কোটা সংস্কার আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থী আবু সাঈদের কবর জিয়ারত করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের। এ সময় তিনি আবু সাঈদসহ সকল নিহতদের ‘বীর মুক্তিসেনা’ পদবি দেন।
বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) বিকেলে রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার মদনখালী ইউনিয়নের বাবনপুর গ্রামে আবু সাঈদের বাড়িতে যান জিএম কাদের। সেখানে তিনি নিহতের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে তাদের খোঁজখবর নেন। শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা। পরে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে নিহত আবু সাঈদের কবর জিয়ারত করে তার রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া মোনাজাত করেন।
কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত আবু সাঈদসহ সকল নিহতদের ‘বীর মুক্তিসেনা’ উল্লেখ করে জিএম কাদের বলেন, রংপুরের বীর সন্তান আবু সাঈদ। আমি তাকে বীর মুক্তিসেনা হিসেবে অভিহিত করছি। শহীদ আবু সাঈদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। একইসঙ্গে তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। নতুনভাবে ছাত্রদের বৈষম্যবিরোধী এই আন্দোলনে আরও যারা শহীদ হয়েছেন আমি তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। আল্লাহ যেন তাদের সবাইকে বেহেস্ত দান করুন।
এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান ও রংপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, পীরগাছা উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও জাপা নেতা আবু নাসের শাহ্ মো. মাহবুবার রহমান, জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক সম্পাদক আজমল হোসেন লেবু, পীরগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক নুরে আলম যাদু, জাতীয় যুব সংহতি রংপুর জেলার সভাপতি হাসানুজ্জামান নাজিম প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, কোটা সংস্কার আন্দোলনে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন আবু সাঈদ। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। মা-বাবার ৯ সন্তানের মধ্যে একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া সন্তান ছিল আবু সাঈদ। গত ১৬ জুলাই বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন পার্ক মোড়ে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশ ও ছাত্রলীগ-যুবলীগের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হিসেবে মিছিলের সম্মুখে থেকে বুক পেতে দেওয়া আবু সাঈদ পুলিশের গুলিতে নিহত হন। এ ঘটনার পর আন্দোলনের উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ে রংপুরসহ পুরো দেশজুড়ে। এরপর ১৮ ও ১৯ জুলাই সংঘটিত সহিংসতায় রংপুরে আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়।
ফরহাদুজ্জামান ফারুক/এমজেইউ