কুষ্টিয়ায় কর্মসূচি পালন করতে পারেননি শিক্ষার্থীরা, আটক ১৬
কুষ্টিয়ায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর অবস্থানের কারণে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচি পালন করতে পারেননি শিক্ষার্থীরা। কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে হত্যা, গণগ্রেপ্তার, হামলা, মামলা ও গুমের প্রতিবাদে বুধবার (৩১ জুলাই) দুপুর আড়াইটায় আদালত চত্বরে এ কর্মসূচি পালনের কথা ছিল।
আদালত চত্বর, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের প্রতিটি প্রবেশ পথ আটকে দেওয়া হয় এবং পুলিশ মোতায়েন করা হয়। কর্মসূচি বাস্তবায়নে শিক্ষার্থীরা জড়ো হওয়ার চেষ্টা করলে আদালত চত্বর, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের আশপাশের এলাকা ও শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ ১৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
কুষ্টিয়া ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এ কর্মসূচি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে বুধবার সকাল থেকে আদালত চত্বর, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের আশপাশের এলাকাসহ শহরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিরাপত্তা জোরদার করে। শহরের বিভিন্ন এলাকায় বসানো হয় পুলিশের চেকপোস্ট। সড়ক-মহাসড়কে পুলিশ, র্যাব ও বিজিবি সদস্যদের টহল দেখা গেছে।
বিকেল ৩টার দিকে আদালত ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের আশপাশ থেকে সন্দেহজনক বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়। এছাড়াও শহরের মোড়ে মোড়ে তল্লাশি করে কয়েকজনকে আটক করা হয়। এদিন অন্তত ১৬ জনকে আটক করে কুষ্টিয়া মডেল থানায় নেয় পুলিশ। তাদের অধিকাংশই ছাত্র। জিজ্ঞাসাবাদে সন্দেহ হলে তাদের আটক করে গাড়িতে করে কুষ্টিয়া মডেল থানায় নেওয়া হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে হত্যা, গণগ্রেপ্তার, হামলা, মামলা ও গুমের প্রতিবাদে দুপুর আড়াইটায় আদালত চত্বরে কর্মসূচি পালনের কথা ছিল। কিন্তু সেখানে প্রবেশের প্রতিটি গেট বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং পুলিশের চেকপোস্ট বসানো হয়। এছাড়াও শহরের অধিকাংশ মোড়ে পুলিশের চেকপোস্ট ছিল এবং পুলিশ, র্যাব ও বিজিবির গাড়ির টহল চলছিল। আটক আতঙ্ক ও হয়রানির ভয়ে শিক্ষার্থীরা কর্মসূচি পালন করতে পারেননি।
কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহফুজুল হক জানান, শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে সন্দেহজনক ১৬ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেওয়া হয়েছে। যাচাই-বাছাই শেষে তাদের ছেড়ে দেওয়া হবে। কোনো ছাত্রকে আটক করা হবে না। তবে কোনো দুষ্কৃতকারীর তথ্যপ্রমাণ পেলে তাদের আইনের আওতায় নেওয়া হবে।
রাজু আহমেদ/আরএআর