গাইবান্ধায় বিএনপির অফিসে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ
গাইবান্ধায় কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে জেলা বিএনপির অফিস ভাঙচুর করে আগুন দেওয়া হয়েছে। কোটা আন্দোলনের মিছিল থেকে আওয়ামী লীগ অফিস ভাঙচুর ও ১১ মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়ার পরপরই বিএনপি অফিসেও ভাঙচুর করে আগুন দেওয়া হয়।
বুধবার (১৭ জুলাই) বেলা ১১টা থেকে কোটা সংস্কারের দাবিতে শহরের ডিবি রোড থেকে এ আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় বিভিন্ন স্কুল-কলেজের হাজারো শিক্ষার্থীসহ অনেক অভিভাবকরাও এই আন্দোলনে অংশ নেন। পরে তারা শহরের প্রধান সড়ক ডিবি রোড প্রদক্ষিণ শেষে এক নং ট্রাফিক মোড়সহ এক নং রেলগেট ও দুই নং রেলগেট দখলে নিয়ে ঘোষণা দিয়ে বন্ধ করে দেন রেলপথ ও সড়ক যোগাযোগ। এতে করে শহরে যোগাযোগ ব্যবস্থা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।
একপর্যায়ে কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল ছোড়ার ঘটনা ঘটে। এর মাঝেই আন্দোলনকারীরা আওয়ামী লীগের অফিস চত্বরে গিয়ে নেতাকর্মীদের ১১টি ব্যক্তিগত মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। একই সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের ইটপাটকেল ও লাঠির আঘাতে গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও গাইবান্ধা পৌর মেয়র মতলবুর রহমানসহ অন্তত আওয়ামী লীগের ১২ জন নেতাকর্মী আহত হন। হামলার মুখে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা অফিস থেকে সরিয়ে গেলে আন্দোলনকারীরা অফিসেও ভাঙচুর চালান। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে আন্দোলনকারীদের ওপর টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
পরে এই সংঘর্ষের মধ্যেই ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা শহরে এসে অবস্থান নেন। একপর্যায়ে পুলিশ-ছাত্রলীগের সঙ্গে কোটাবিরোধীদের কয়েক দফায় সংঘর্ষ হয়। পরে পুলিশ ও ছাত্রলীগ আন্দলোরকারীদের ধাওয়া দিলে তারা রেলস্টেশন, শহরের বিভিন্ন মার্কেট ও স্থাপনায় ঢুকে পড়েন।
এসবের পরেই ক্ষিপ্ত হয়ে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে পাল্টা হামলা চালান ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় তারা বিএনপি অফিস ভাঙচুর করেন এবং আগুন দেন। এছাড়া তারা রাস্তায় চেয়ারের স্তুপ করে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেন। পরে ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নেভায়।
গাইবান্ধার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) ইবনে মিজান বলেন, পুরো শহর এখন পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
রিপন আকন্দ/আরএআর