ছাত্রলীগের ওপর হামলা করে পদ হারালেন আওয়ামী লীগ নেতা
কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টির প্রতিবাদে জামালপুরে ছাত্রলীগের সমাবেশে হামলা করায় পৌর আওয়ামী লীগের সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেনকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) জামালপুর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাসুম রেজা রহিম এবং সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন ছানু স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, 'গতকাল মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টির প্রতিবাদে পৌর ছাত্রলীগের আয়োজনে স্টেশন চত্বরে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ চলছিল। এ সময় পৌর আওয়ামী লীগের সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেনের নেতৃত্বে কতিপয় চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও মাদকসেবী দেশীয় ধারালো অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় পৌর ছাত্রলীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক শাহরিয়ার ইসরাম নীরবসহ তিন ছাত্রলীগকর্মী আহত হন। এতে সমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়। তার এমন কর্মকাণ্ডে সংগঠনের ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ন হয়েছে। সেই সঙ্গে চলমান তথাকথিত কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার পতনের যে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে; প্রকারন্তরে ষড়যন্ত্রকারী জামায়াত-বিএনপির দোসর হিসাবে মোয়াজ্জেম হোসেন এহেন ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে। এ অভিযোগে সংগঠনের পদ থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়।'
আরও পড়ুন
জামালপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি খাবিরুল ইসলাম খান বাবু বলেন, কলেজ ছাত্রলীগকে নিয়ে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করছিলাম। আমি শেষ মুহূর্তে যখন বক্তব্য দিচ্ছি, ঠিক তখনই স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মোয়াজ্জেম ও তার ভাতিজা তানজিদসহ কয়েকজন দেশীয় অস্ত্রসহ হামলা চালায়।
বহিষ্কৃত আওয়ামী লীগ নেতা মোফাজ্জেল হোসেনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
রকিব হাসান নয়ন/আরএআর