ময়মনসিংহে সেতু ভেঙে ১০ গ্রামের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন, দুর্ভোগ চরমে
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে কাঁচামাটিয়া নদীর সেতু ভেঙে পড়ায় ১০ গ্রামের মানুষের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এতে চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছেন স্থানীয়রা। এই অবস্থায় দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
গত ১২ জুলাই বিকেলে উপজেলার সোহাগী বাজার হতে দেওয়ানগঞ্জ বাজার সড়কের সাহেব নগর এলাকায় কাঁচামাটিয়া নদীর ওপর নির্মিত এই সেতুটি ভেঙে পড়ে।
গত ২৫ বছর আগে ১৯৯৯ সালের ২ জানুয়ারি এই সেতুটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তৎকালীন সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সাত্তার। ৭৫ দশমিক ১০ মিটার দীর্ঘ ও ৮ ফুট প্রস্থের এই সেতুটি নির্মাণ করেছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। ‘স্বল্প ব্যয়ে গ্রামীণ সড়কে ব্রিজ/কালভার্ট নির্মাণ প্রকল্প’ শিরোনামে এই সেতুটি নির্মিত হয়। তবে, দীর্ঘ সময় আগে নির্মিত এই সেতুর নির্মাণ ব্যয় জানা যায়নি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সেতুর পূর্ব পাশে বগাপোতা গ্রাম ও উপজেলার সোহাগী ইউনিয়নের সোহাগী বাজার। সেখানে রয়েছে কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সোহাগী রেলস্টেশন। সেতুর অপর পাশে রয়েছে মনোহরপুর, তুলন্দর, সাহেব নগর, মালিহাটি, টঙ টঙিয়া, কান্দাপাড়া, চট্টি, মৃধাবাড়ি, ইসলামপুর ও সুটিয়া গ্রাম। এই দুই পারের বাসিন্দাদের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম ছিল এই সেতুটি।
সাহেব নগর গ্রামের বাসিন্দা মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, অনেকদিন ধরেই সেতুটি খুব দুর্বল হয়ে পড়েছিল। কয়েকদিন আগে সেতুর একটি অংশ হালকা ধসে গেলে বিষয়টি উপজেলা প্রকৌশলীকে জানানো হয়। তখন প্রকৌশল অফিসের লোকজন এসে দেখা যায়। কিন্তু এরই মধ্যে হঠাৎ সেতুর একটি পাটাতন ভেঙে নদীতে পড়ে যায়।
এই অবস্থায় ভেঙে পড়া সেতুর এপার-ওপারের মানুষ কলা গাছের ভেলায় চড়ে প্রয়োজনের তাগিদে চলাচল করছেন বলে ঢাকা পোস্টকে জানিয়েছেন ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. আতাউর রহমান। তিনি বলেন, প্রয়োজনের তাগিদে অনেকেই কলা গাছের ভেলায় চড়ে সেতুর এপার-ওপারের চলাচল করছেন। এতে পানিতে ডুবে প্রাণহানির ভয় রয়েছে।
সোহাগী ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আব্দুল কাদির ভূইয়া বলেন, এলাকাবাসীর দুর্ভোগের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আশা করছি তারা দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
এই বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী আয়েশা আক্তার ঢাকা পোস্টকে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ওই স্থানে একটি নতুন সেতু নির্মাণের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। সাময়িক চলাচলের জন্য ভেঙে পড়া সেতুটি সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে একটু সময় লাগবে। আশা করছি অল্প সময়েই এটি করতে পারব।
মো. আমান উল্লাহ আকন্দ/কেএ