কক্সবাজারে অস্ত্র-গুলিসহ আরসার পাঁচ সদস্য আটক
কক্সবাজারের উখিয়ায় ১৫ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন মোছারখোলা পাহাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে বেশকিছু অস্ত্র ও গুলিসহ মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরসার পাঁচ সন্ত্রাসীকে আটক করেছে র্যাব। আটকদের মধ্যে একজন বাংলাদেশি নাগরিক।
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) বিকেল ৫টায় র্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়ন কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন।
আটকরা হলেন- উখিয়ার ১৫ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি-৩ ব্লকের মৃত আব্দুল মোতালেবের ছেলে মো. নেছার (৩০), একই ক্যাম্পের এইচ-৭ ব্লকের আব্দুল জব্বারের ছেলে রবি আলম (১৮), এইচ-১২ ব্লকের মো. শাকের আহমেদের ছেলে মো. আবুল কালাম (২৮), এইচ-৫ ব্লকের মো. বাশারের ছেলে মো. আইয়ুব (২২) এবং কুতুপালং ৪ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সি-২৫ ব্লকে বসবাসকারী স্থানীয় বাংলাদেশি নাগরিক আব্দুর রহমানের ছেলে আবুল হোসেন (২০)।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাজ্জাদ হোসেন বলেন, সম্প্রতি উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে বিভিন্ন সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর অপতৎপরতা বেড়ে যাওয়ায় খুন, অপহরণ, চাঁদাবাজি ও ডাকাতিসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বেড়েই চলেছে। এর প্রেক্ষিতে র্যাবসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নজরদারি ও অভিযান জোরদার করেছে। বৃহস্পতিবার ভোরে উখিয়ার ১৫ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন পাহাড়ি এলাকায় আরসার একদল সদস্য বেশকিছু আগ্নেয়াস্ত্রসহ নাশকতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে এমন খবরে র্যাবের একটি দল অভিযান চালায়। এতে ঘটনাস্থলে পৌঁছালে উপস্থিতি টের পেয়ে আরসার সন্ত্রাসীরা র্যাব সদস্যদের লক্ষ্য করে অতর্কিত গুলি ছুড়তে থাকে। আত্মরক্ষার্থে র্যাব সদস্যরাও পাল্টা গুলি ছুড়ে। একপর্যায়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় ধাওয়া দিয়ে আরসার পাঁচ সদস্যকে আটক করে র্যাব। পরে সন্ত্রাসীদের আস্তানা তল্লাশি করে দেশীয় তৈরি বিভিন্ন ধরনের ছয়টি বন্দুক ও ৯টি গুলি পাওয়া যায়।
র্যাবের এ কর্মকর্তা বলেন, আটকরা জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে তারা সকলেই আরসার সক্রিয় সদস্য। এদের মধ্যে বাংলাদেশি নাগরিক আবুল হোসেন আরসার সহযোগী হিসেবে কাজ করত। তারা খুন, অপহরণ ও চাঁদাবাজিসহ নানা অপরাধের সঙ্গে জড়িত।
আটকদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে উখিয়া থানায় মামলা করা হয়েছে বলে জানান লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাজ্জাদ হোসেন।
সাইদুল ফরহাদ/এমজেইউ