ফেনীতে ১১ কুকুরকে পিটিয়ে হত্যা, আসামির বিরুদ্ধে সমন জারি
ফেনী শহরের শান্তি কোম্পানি সড়কে প্রকাশ্যে ৯টি শাবকসহ দুই মা কুকুরকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করেছেন আদালত। এ সংক্রান্ত শুনানি শেষে আদালত প্রধান অভিযুক্ত জসিম উদ্দিনকে আদালতে হাজির করার নির্দেশ (সমন জারি) দেন।
মঙ্গলবার (৯ জুলাই) ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আশেকুর রহমানের আদালত এ আদেশ দেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সফিকুল ইসলাম পিয়াস ঢাকা পোস্টকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিন এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেন ফেনী সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. শহীদুল ইসলাম খোকন। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় ৯টি শাবকসহ দুই মা কুকুরকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ফেনী শহরের শান্তি কোম্পানি সড়কের শান্তি কোম্পানি বাড়ির কালামিয়ার ছেলে জসিম উদ্দিনের প্রাথমিকভাবে জড়িত থাকার সত্যতা পাওয়া গেছে।
মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সফিকুল ইসলাম পিয়াস বলেন, প্রাণী হত্যার ঘটনায় ফেনীতে এটিই প্রথম কোনো মামলা ছিল। তদন্ত কমিটি প্রধান অভিযুক্ত জসিম উদ্দিনের প্রাথমিকভাবে জড়িত থাকার সত্যতা পেয়েছে। তার অন্য দুই সহযোগীকে এ ঘটনায় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। আদালত প্রাণী কল্যাণ আইন ২০১৯ এর ১৬ (ক) ধারায় তার অপরাধ আমলে নিয়ে আগামী ২৯ জুলাই আসামিকে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছেন।
এর আগে গত ১ এপ্রিল ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এনিমেল এইড ফেনীর পরিচালক এনাম হোসেন বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে এ মামলা করেন। ফেনীতে প্রাণী হত্যার ঘটনায় এটিই ছিল প্রথম কোনো মামলা। পরে মামলাটি আমলে নিয়ে ফেনী সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাকে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন আদালতের বিচারক মুহাম্মদ আশেকুর রহমান।
মামলার বাদী এনাম হোসেন বলেন, গত ৪ ফেব্রুয়ারি ফেনী শহরের শান্তি কোম্পানি সড়কের শান্তি কোম্পানি বাড়ির কালামিয়ার ছেলে জসিম উদ্দিন ও তার দুই সহযোগী বিনা কারণে দুই মা কুকুর ও ৯টি শাবককে প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যা করেন। অনুমতি ছাড়া প্রকাশ্যে ১১টি কুকুর হত্যা করে আসামিরা প্রাণিকল্যাণ আইন লঙ্ঘন করেছেন। তাদের শাস্তি না হলে অন্যরাও প্রাণী নিধনে উৎসাহিত হবে।
তারেক চৌধুরী/আরেক