ভোলায় এইচএসসি পরীক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
ভোলায় এইচএসসি পরীক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পরীক্ষা খারাপ হওয়ায় জিতু (১৯) নামের ওই শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন।
শুক্রবার (৫ জুলাই) বিকেলে ভোলার দৌলতখান উপজেলার চর খলিফা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে নিজ বাড়ি থেকে জিতুর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
জিতু ওই ওয়ার্ডের মো. জসিম মাস্টারের একমাত্র ছেলে। তিনি এবার দৌলতখান আবি আব্দুল্লাহ কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিলেন। পরীক্ষার কেন্দ্র ছিল দৌলতখান সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়।
আরও পড়ুন
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জিতু আগে থেকেই কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন ছিল। স্থানীয় দৌলতখান আবু আব্দুল্লাহ কলেজ থেকে এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় তিনি অংশগ্রহণ করেছিলেন। বৃহস্পতিবার তিনি ইংরেজি প্রথমপত্র পরীক্ষা দিয়েছিলেন। তবে পরীক্ষা ভালো হয়নি। এর আগের দুটি পরীক্ষা বাংলা ১ম ও ২য় পত্রের পরীক্ষাও ভালো হয়নি। সবমিলিয়ে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে ঘরের আড়ার সঙ্গে রশি পেঁচিয়ে জিতু আত্মহত্যা করেছেন। ঘরের লোকজন ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দিলে তারা মরদেহ উদ্ধার করে। এর আগে টেস্ট পরীক্ষায় জিতু ছয়টি বিষয়ে ফেল করেছিলেন।
পুলিশ ও পরিবারের ধারণা, পরীক্ষা খারাপ হওয়ায় মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে জিতু আত্মহত্যা করেছেন।
দৌলতখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সত্যরঞ্জন খাসকেল জিতুর আত্মহত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির কাজ চলছে। প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এসএসএইচ