পদ্মা সেতু উদ্বোধনের দিনই মাওয়া থেকে ফরিদপুর যাবে ট্রেন
রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, পদ্মা সেতু উদ্বোধনের দিনই চালু হবে রেলসেতু। এজন্য পদ্মা সেতু ও রেলসেতুর কাজ একসঙ্গে চলছে। মঙ্গলবার (০৪ মে) দুপুর ১২টার দিকে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া রেল স্টেশন ও ভায়াডাক্ট পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন তিনি।
রেলমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে রেলসেতুর মূল কাজের প্রায় ৪১ শতাংশ শেষ হয়েছে। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের দিনই মুন্সিগঞ্জের মাওয়া থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত যাবে ট্রেন। মাওয়া থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত রেলের কাজের ৬৬ শতাংশ শেষ হয়েছে। চার রেল স্টেশনের বাকি কাজ দ্রুত সময়ের মধ্যে শেষ হবে।
মাওয়া রেল স্টেশনের কাজ পরিদর্শন শেষে জাজিরার অংশের কাজ পরিদর্শনের উদ্দেশে রওনা হন রেলমন্ত্রী। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন রেলসেতু প্রকল্প পরিচালক গোলাম ফখরুদ্দিন আহমেদ চৌধুরী ও রেলওয়ের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্র নাথ মজুমদার।
প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের ভায়াডাক্ট-২-এর মাওয়া প্রান্তের পদ্মা সেতুর সঙ্গে সংযোগ স্থাপন হয়েছে। পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পটি সরকারের রেল মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাস্তবায়নাধীন প্রকল্প। ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে যশোর পর্যন্ত ১৬৯ কিলোমিটার ব্রডগেজ রেলপথ নির্মাণ করা হবে প্রকল্পের অধীনে।
এর মধ্যে ৩৯.৬৩ কিলোমিটার থেকে ৮১.৯৩ কিলোমিটারের (মাওয়া-ভাঙ্গা ৪২.৩০ কিলোমিটার) অংশটি অগ্রাধিকার সেকশন হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। এ অংশের নির্মাণকাজ শেষ হলে পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে ভাঙ্গা-পাচুরিয়া-রাজবাড়ীর রেল যোগাযোগ তৈরি হবে।
এরই মধ্যে এ অংশের ১২টি বড় সেতুর মধ্যে ১১টি, ৬৯টি কালভার্টের মধ্যে ৬২টি, ২৭.২ কিলোমিটার এমব্যাংকমেন্টের মধ্যে ১৮ কিলোমিটারের নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। পদ্মা সেতুর উভয় পাশে সংযোগের জন্য মাওয়া প্রান্তে ২.৫৮৯ কিলোমিটার ভায়াডাক্ট-২ এবং জাজিরা প্রান্তে ৪.০৩১ কিলোমিটার ভায়াডাক্ট-৩ অবস্থিত। যার কাজ প্রায় শেষের পথে।
পাশাপাশি চার রেল স্টেশনের মধ্যে তিনটির নির্মাণকাজ চলছে। মাওয়া প্রান্তে ভায়াডাক্ট-২-এর গার্ডার স্থাপন সম্পন্ন হয়েছে। মাওয়া প্রান্তে ২.৫৮৯ কিলোমিটার দীর্ঘ ভায়াডাক্ট-২-এর নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে। প্রায় ১ বছর পাঁচ মাসে ভায়াডাক্টের মূল অবকাঠামো নির্মাণকাজের অগ্রগতি প্রায় ৯৬ শতাংশ।
ব.ম শামীম/এএম