মোটরসাইকেল চালানো নিয়ে দ্বন্দ্ব, খুন করে শুভকে ভাসিয়ে দেয় নদীতে
বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জে স্কুলছাত্র ওমর ফারুক শুভ (১৫) হত্যার ঘটনায় দুই শিশুসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার দিবাগত রাতে ভোলা ও পটুয়াখালীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মেহেন্দিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াছিনুল হক। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে বলেও জানান তিনি।
গ্রেপ্তাররা হলেন- মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার উলানিয়া গ্রামের মৃত আ. মজিদ রাঢ়ীর ছেলে মাইদুল ইসলাম রাঢ়ী (৩৭), আম্বিকাপুর গ্রামের বাদল পহলানের ছেলে ইসমাইল পহলান (১৮), বাছেদ খানের ছেলে হাসিবুর রহমান (১৪) ও গাজীরচর গ্রামের জুয়েল হোসেনের ছেলে আহাদ হোসেন (১৪)।
আরও পড়ুন
ওসি ইয়াছিনুল হক বলেন, আসামি মাইদুলের মেহেন্দিগঞ্জের লেংগুটিয়া বাজারে একটি ভাঙারির দোকান আছে। সেই দোকানে জাঙ্গালিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্র ওমর ফারুক শুভ মাঝেমধ্যে কাজ করতো। তাদের মধ্যে সুসম্পর্ক থাকায় শুভ কাজের বিনিময়ে এবং আলাদা হাত খরচের জন্য বিভিন্ন সময়ে মাইদুলের কাছ থেকে টাকা নিত। আসামি মাইদুল ৬ মাস আগে ব্যবসায়ী কাজে গতি আনতে একটি পুরাতন মোটরসাইকেল কেনেন। কিন্তু মাইদুল মোটরসাইকেল চালাতে পারতেন না। তবে ওমর ফারুক শুভ মোটরসাইকেল চালাতে পারতো। সেই সুবাদে মাইদুলের গাড়িটি প্রায়ই শুভ নিয়ে চালাতো। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে মনোমালিন্য হয়। যা তিক্ততায় রূপ নিলে গত ৬ জুন শুভকে পরিকল্পিতভাবে ভোলার চরফ্যাশনে নিয়ে যায় মাইদুল।
এদিন রাত আড়াইটার দিকে সহযোগীদের নিয়ে শুভকে হত্যা করে মাইদুল। পরবর্তীতে সবাই মিলে মৃতদেহ ধরে নদীতে ফেলে দেয়। এর একদিন পরে মেঘনা তীরে অজ্ঞাত কিশোরের লাশ পেয়ে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আঞ্জুমান মফিদুলের উদ্যোগে অজ্ঞাত হিসেবে দাফন করা হয়।
এদিকে ছেলেকে না পেয়ে নিখোঁজ কিশোরের পিতা ইব্রাহিম খন্দকার মেহেন্দীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। তদন্তে নেমে হত্যার তথ্য উদঘাটন করে আসামিদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
সৈয়দ মেহেদী হাসান/এমজে