পঞ্চগড়ে ভারী বর্ষণে ভেঙে গেছে সড়ক, বন্ধ যানচলাচল
পঞ্চগড়ের ভারী বর্ষণে ভেঙে পড়েছে সড়ক। এতে করে বন্ধ হয়ে গেছে যান চলাচল। রোববার (৩০ জুন) ভোরে পঞ্চগড় সদর উপজেলার সদর ইউপির অন্তর্গত বলেয়াপাড়া-দেওয়ানহাট সড়কের বলেয়াপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, গত শনিবার ভারী বর্ষণের কারণে বলেয়াপাড়ার কালভার্টসংলগ্ন সড়কের পশ্চিম দিকে অতিরিক্ত পানি জমে। একপর্যায়ে পানি বাড়তে থাকলে তা কালভার্টের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে থাকে। পানির স্রোতের কারণে সড়কটি রোববার ভোর রাত থেকে ভাঙতে শুরু করে। সড়কটি ভেঙে যাওয়ার পর থেকে বন্ধ হয়ে গেছে সব ধরনের যানচলাচল। বিকল্প সড়কে কাদাযুক্ত কাচা রাস্তায় চলতে হচ্ছে। দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এসব এলাকার মানুষদের। সমস্যাটা সমাধানে এখন পর্যন্ত নেওয়া হয়নি কোনো উদ্যোগ।
জানা যায়, ক্ষতিগ্রস্ত এ সড়কটি দিয়ে জেলার সদর ইউনিয়নের বলেয়াপাড়া হয়ে দেওয়ানহাট-জগদল যেতে প্রতিদিন চলাচল করে শতশত যানবাহন। সড়কটির উত্তরে রয়েছে বলেয়াপাড়া, গোফাপাড়া, ডুডুমারী, মাহানপাড়া, জগদল, বসুনিয়াপাড়া, দেওয়ানহাট ও সন্ন্যাসীপাড়াসহ বেশ কিছু এলাকা। এসব এলাকার জনসাধারণ জেলা শহরে আসতে ব্যবহার করে থাকেন এ আঞ্চলিক সড়কটি। প্রতি বর্ষার সময়ে এ এলাকার জমে থাকা পানি বলেয়াপাড়া কালভার্টটি দিয়ে নালার সাহায্যে তালমা নদীতে গিয়ে পড়ত।
সদর উপজেলার সদর ইউপি সদস্য আব্দুস সালাম বলেন, ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে বলেয়াপাড়ার একটি কালভার্টের পাশের মাটি সরে গিয়ে সড়কটি ভেঙে গেছে। এ কারণে ওই সড়ক দিয়ে সব ধরনের যানবাহন চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেছে। সড়কটি দিয়ে বলেয়াপাড়া হয়ে দেওয়ানহাট-জগদল যেতে প্রতিদিন প্রচুর যানবাহন চলাচল করে। আমরা বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলীকে জানিয়েছি।
তিনি আরও জানান, বিশেষ করে পঞ্চগড়-হাড়িভাসা সড়কের বানিয়ার মিল সংলগ্ন ভাঙ্গামালি ব্রিজের ভাটি অংশে স্থায়ীভাবে স্থাপনা নির্মাণ করায় সেখান দিয়ে পানি প্রবাহ সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেছে। সে কারণে ভারি বৃষ্টিপাতে বলেয়াপাড়া দিয়ে পানির চাপ বাড়ে। গত বর্ষা মৌসুমেও এই ব্রিজের মুখ বন্ধ থাকায় পৌর এলাকার হঠাৎপাড়া ও সদর ইউনিয়নের বলেয়াপাড়ায় স্থায়ী জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছিল।
পঞ্চগড় সদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আল ইমরান খান বলেন, বর্ষার ভারি বর্ষণের কারণে পানির চাপে সড়কটি ভেঙে পড়েছে। আমরা ঘটনাস্থল ঘুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও এলজিইডি প্রকৌশলীকে জানিয়েছি। তবে লোকজন যাতে চলাচল করতে পার সে জন্য গাছ কাটা হয়েছে। সেখানে আপাতত একটি কাঠের সাঁকো নির্মাণ করা হবে। আশা করছি মঙ্গলবার সকাল থেকেই সাঁকো নির্মাণ কাজ শুরু হবে।
পঞ্চগড় সদর উপজেলা প্রকৌশলী মো. রমজান আলী বলেন, বলেয়াপাড়ায় সড়কটি ভেঙে পড়ার পর আমরা সরেজমিনে গিয়ে পরিদর্শন করে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানকে উদ্যোগ নিতে বলেছি। আপাতত চলাচলের জন্য সেখানে একটি কাঠের সাকো নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আগামী দুই মাসের মধ্যে সেখানে একটি নতুন কালভার্ট নির্মাণসহ বর্ষা মৌসুমে সৃষ্ট সমস্যা নিরসনে সব ধরণের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এসকে দোয়েল/আরকে