বাড়ছে সাঙ্গু নদীর পানি, নির্ঘুম রাত কাটছে স্থানীয়দের
পার্বত্য জেলা বান্দরবানে গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে সাঙ্গু নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে আতঙ্কে দিন কাটছে নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের। এরই মধ্যে নিজেদের আবাসস্থল থেকে গবাদি পশু সরিয়ে উঁচু স্থানে নিয়েছেন অনেকে। দিনের বেলায় যেমন তেমন হলেও বৃষ্টির কারণে রাতের বেলায় অনেকটা নির্ঘুম সময় কাটে সাঙ্গু তীরের মানুষের।
সোমবার (১ জুলাই) সরেজমিনে জেলা সদরের সাঙ্গু সেতু সংলগ্ন এলাকায় দেখা যায়, স্থানীয়রা গবাদি পশু সরিয়ে উঁচু স্থানে নিচ্ছেন।
স্থানীয়রা জানান, গত বছরের আগস্টের ভয়াবহ বন্যার কথা এখনো ভুলতে পারেননি তারা। টানা বৃষ্টিপাতে এখন নতুন করে চিন্তায় আছেন। এর মধ্যে টানা ৭২ ঘণ্টার বৃষ্টি তাদের রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে। বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে পরিবার-পরিজন নিয়ে নিরাপদ স্থানে চলে যাবেন।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. জসিম বলেন, এখন পানি বৃদ্ধির অবস্থা ভয়াভহ। গেল বছরের ক্ষতি এখনো কাটেনি। টানা বৃষ্টিপাতে এখন পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এখানে থাকা সম্ভব নয়,পানির ভয়ে এখন নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে হবে।
শহীদুল ইসলাম নামে আরেকজন জানান, এখানে আমরা যারা নদীর পাড়ে আছি তারা খুবই আতঙ্কে আছি। খুবই কষ্টে আছি, বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে পরিবার-পরিজন নিয়ে নিরাপদ স্থানে চলে যেতে হবে।
বান্দরবান আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সনাতন কুমার মন্ডল জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ১০৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বৃষ্টিপাত আগামী আরও কয়েকদিন হওয়ার সম্ভাবনা আছে। বৃষ্টিপাতের কারণে সাঙ্গু নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে, পাহাড় ধসের শঙ্কাও আছে।
এদিকে টানা বৃষ্টিপাতের কারণে পাহাড়ি এলাকা থেকে সরে যেতে বান্দরবান পৌরসভার পক্ষ হতে জনসচেতনতায় মাইকিং অব্যাহত আছে।
বান্দরবান পৌরসভার মেয়র মো. শামসুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, প্রাথমিকভাবে পৌর এলাকায় ১৯টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পাহাড়ি এলাকায় বসবাসকারী জনসাধারণকে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে আসতে বলা হয়েছে। কেউ আশ্রয়কেন্দ্রে আসলে তাদের জন্য শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের জরুরিভাবে এ বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
শহীদুল ইসলাম/আরএআর