ফেনী জেলার ১০ শতাংশের বেশি মানুষ প্রবাসী
সারাদেশের মতো বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জেলা ফেনীর জনশুমারি ও গৃহগণনা প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। এতে দেখা গেছে জেলাটির ১০ শতাংশেরও বেশি মানুষ প্রবাসে বসবাস করেন।
এছাড়া ফেনীতে নির্ভরশীল মানুষের সংখ্যাও বাড়ছে। বর্তমানে জেলায় মোট জনসংখ্যার ৫৯ দশমিক ৪৬ শতাংশ নির্ভরশীল। যেখানে জাতীয়ভাবে নির্ভরশীলতার হার ৫৩ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ এর ফেনী জেলা প্রতিবেদন প্রকাশনা অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ফেনী জেলার মোট জনসংখ্যা ১৬ লাখ ৪৮ হাজার ৮৯৬ জন। তার মধ্যে ৪৭ দশমিক ৩৩ শতাংশ পুরুষ এবং ৫১ দশমিক ৬৭ শতাংশ নারী। জেলায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সংখ্যা ৯০৬ জন। মোট পরিবারের সংখ্যা ৩ লাখ ৭৭ হাজার ১৬৪। জেলায় জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১ দশমিক ২২ শতাংশ, যা ২০১১ সালের শুমারিতে ছিল ১ দশমিক ৪৬ শতাংশ। প্রতি বর্গকিলোমিটারে জনসংখ্যার ঘনত্ব ১ হাজার ৬৬৫ জন।
অপরদিকে জেলায় প্রবাসীর সংখ্যা ১ লাখ ৫৪ হাজার ২৪৩ জন। এ সংখ্যা জেলার মোট জনসংখ্যার ১০ দশমিক ৭০ শতাংশ। মোট জনসংখ্যার ৩৩ দশমিক ৮৫ শতাংশ পরিবার রেমিটেন্স পেয়ে থাকেন। জেলায় ৭ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সী জনগোষ্ঠীর সাক্ষরতার হার ৮০ দশমিক ৭৯ শতাংশ।
প্রতিবেদন প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো'র মহাপরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, ডিজিটাল পদ্ধতিতে জনশুমারি ও গৃহগণনার কাজটি সম্পন্ন হয়েছে। সঠিক তথ্য নিশ্চিতে প্রযুক্তির ব্যবহার বেড়েছে। বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে অনেকদূর এগিয়েছে। এখন অর্থনৈতিক শুমারির কার্যক্রম চলমান। এ প্রতিবেদন প্রকাশ হলে আমাদের উন্নয়নের চিত্র সবার সামনে তুলে ধরা হবে।
অপরদিকে ফেনীতে নির্ভরশীল জনসংখ্যা প্রসঙ্গে সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার বলেন, প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রচেষ্টার উদাহরণ প্রযুক্তিনির্ভর জনশুমারি এবং গৃহগণনা। নির্ভরশীল জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করে সরকার সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালু করেছেন। এজন্য সবাইকে পেনশন স্কিমে অন্তর্ভুক্ত হতে উৎসাহ দিতে হবে।
জেলায় সর্বাধিক জনসংখ্যা ফেনী সদর উপজেলায়। সবচেয়ে কম জনসংখ্যা পরশুরাম উপজেলায়।
জেলা কালচারাল কর্মকর্তা এসএমটি কামরানের সঞ্চালনায় সভায় প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন জেলা পরিসংখ্যান দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক মো. তানজীব হাসান ভূঁইয়া। এতে আরও বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার ফেনীর উপপরিচালক গোলাম মো. বাতেন, পরিসংখ্যান ব্যুরোর উপসচিব মুনিরা ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) থোয়াই অংপ্রু মারমা। এ সময় জেলায় কর্মরত বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
তারেক চৌধুরী/এমটিআই