শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা চাইলেন দুই শিক্ষক
ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আঞ্জুমান আরা বেগমের কাছে চাঁদা দাবি করেছেন দুই সহকারী শিক্ষক। এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক মো. জাকির হোসেন ও আজাহারুল ইসলাম মুচলেকা দিয়ে ক্ষমা চেয়েছেন।
বুধবার (২৬ জুন) বিকেলে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ে এক সমঝোতা বৈঠকে এই মুচলেকা দেয় অভিযুক্তরা। এ নিয়ে উপজেলা প্রশাসনের ভেতরে বাইরে তোলপাড় সৃষ্টি হলে ঘটনাটি চাউর হয়ে উঠে সর্বত্র।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আঞ্জুমান আরা বেগম বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দুপুরে ঢাকা পোস্টকে এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। তবে এখন সামাধান হয়েছে। তারা এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে মুচলেকা দিয়েছেন।
এর আগে ২৫ জুন উপজেলা রিসোর্স সেন্টারে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বিজ্ঞান বিষয়ক ৬ দিনব্যাপী এক প্রশিক্ষণ কর্মশালা চলাকালে শিক্ষা কর্মকর্তা আঞ্জুমান আরা বেগমের কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন সহকারী শিক্ষক মো. জাকির হোসেন ও আজহারুল ইসলাম। এ সময় তারা আঞ্জুমান আরা বেগমকে বলেন, ‘জুন ক্লোজিং চলছে আমাদের দুই লাখ টাকা চাঁদা দিতে হবে।
এরপর ঘটনাটি জানাজানি হলে গতকাল ২৬ জুন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ে সহকারী শিক্ষক মো. জাকির হোসেন ও আজহারুল ইসলামসহ আরও অনেকেই সমঝোতা বৈঠকে বসে তারা চাঁদা দাবির সত্যতা স্বীকার করেন। এ সময় তারা উপস্থিত সকলের সামনে মুচলেকা দিয়ে বের হয়ে যান।
জানতে চাইলে মুচলেকা দেওয়ার সত্যতা স্বীকার করেন সহকারী শিক্ষক মো. জাকির হোসেন ও আজহারুল ইসলাম। এ সময় তারা বলেন, ঘটনাটি সামাধান হয়ে গেছে।
তবে এ ঘটনায় কোনো অভিযোগ পাননি বলে জানিয়েছেন গৌরীপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এমএএস