টিসিবির ১৫২০ লিটার তেল মজুত, জরিমানা ৫০ হাজার টাকা
রাজশাহী নগরীতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) পণ্য কালোবাজারে বিক্রির দায়ে মোস্তাক আহমেদ কাজল নামের এক ডিলারকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
সোমবার (০৩ মে) জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের বিভাগীয় কার্যালয়ে শুনানি শেষে তাকে এ জরিমানা করা হয়। ‘মেসার্স আলী ট্রেডার্স’ পরিচালনা করতেন মোস্তাক। কাজল ব্রাদার্স নামের আরেকটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী তিনি।
২৯ এপ্রিল বিকেলে নগরীর রেশমপট্টি এলাকার বাসিন্দা কাজলের বাড়ি এবং ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে অভিযান চালায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। সব মিলিয়ে এ ডিলারের কাছ থেকে জব্দ করা হয় টিসিবির এক হাজার ৫২০ লিটার সয়াবিন তেল, ৩৫০ কেজি চিনি, ৩০০ কেজি মসুর ডাল ও ২০০ কেজি ছোলা। জব্দকৃত এসব মালামাল সোমবার বাজেয়াপ্ত করা হয়।
শুনানি করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক হাসান-আল-মারুফ।
তিনি বলেন, অভিযান শেষে ওই দিনই তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মোস্তাক আহমেদ কাজল উপস্থিত হয়ে তার বক্তব্য উপস্থাপন করেন।
তিনি যুক্তিসংগত, আইনগত ও সুস্পষ্ট কোনো কারণ প্রদর্শন করতে পারেননি। ফলে অভিযোগ প্রমাণিত হয়। এজন্য মেসার্স কাজল ব্রাদার্সকে ভোক্তা অধিকার আইনের ৪৫ ধারায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একই সঙ্গে জব্দকৃত পণ্য বাজেয়াপ্ত করা হয়।
তিনি আরও বলেন, এই ডিলারের মাধ্যমে নগরীতে ট্রাকে করে পণ্য বিক্রি করে টিসিবি। তিনি স্বীকার করেছেন প্রতিদিনের বরাদ্দ থেকে কিছু পণ্য মজুত করতেন। বিধি অনুযায়ী, এমনটি ঘটলে টিসিবিকে জানানোর বিধান রয়েছে। কিন্তু সেটিও করেননি ডিলার।
নিজের আলাদা দোকানে তিনি টিসিবির পণ্য বিক্রি করতেন। দালালদের মাধ্যমে অন্য টিসিবির ডিলারদের পণ্য কিনে নিয়েও বিক্রি করতেন তিনি। এক কথায় একটি সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করতেন।
মেসার্স আলী ট্রেডার্সের ডিলারশিপ বাতিল হচ্ছে বলে জানিয়েছেন টিসিবির রাজশাহীর আঞ্চলিক কার্যালয়ের প্রধান রবিউল মোর্শেদ।
তিনি বলেন, ২৯ এপ্রিল ওই ডিলারের ডিলারশিপ স্থগিত করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। তিনি এখনো নোটিশের জবাব দেননি। এর মধ্যে দণ্ডিত হওয়ায় আর জবাবের প্রয়োজন পড়বে না। বিধি অনুযায়ী তার ডিলারশিপ বাতিল হয়ে যাবে। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের চিঠি পেলে তার ডিলারশিপ বাতিলের সুপারিশ করব।
ফেরদৌস সিদ্দিকী/এএম