চুয়াডাঙ্গায় রাসেলস ভাইপার পিটিয়ে মারল গ্রামবাসী
দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্তবর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গাতে রাসেলস ভাইপার সাপ পিটিয়ে হত্যা করেছে গ্রামবাসী। বুধবার (২৬ জুন) বেলা ১২টার দিকে জেলার জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের মেদেনীপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
চুয়াডাঙ্গা বন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রকিব উদ্দিন এই সাপটি রাসেলস ভাইপার—নিশ্চিত করে ঢাকা পোস্টকে বলেন, “এটি একটি বিষধর সাপ। আতংকিত হবার কিছু নেই। চুয়াডাঙ্গায় রাসেল ভাইপার সাপ দেখা মিলেছে কিনা, বা কেউ দংশনের স্বীকার হয়েছেন কিনা কিছুদিন আগে ঢাকা থেকে আমার কাছে চিঠি দিয়ে জানতে চেয়েছিলেন। সেই সময় রিপোর্ট পাঠানো পর্যন্ত জেলার এমন কোন সংবাদ আমাদের কাছে ছিল না। তবে আজ জীবননগরের সীমান্তবর্তী মেদিনীপুরে পাওয়া গেছে বলে নিশ্চিত হয়েছি। পরবর্তী রিপোর্ট চাইলে এ তথ্যটি জানানো হবে।”
স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল আলিম ঢাকা পোস্টকে বলেন, বুধবার সকালে গ্রামের একটি মেহগনি বাগানে মোবারক নামের এক কৃষক ঘাস কাটছিলেন। এসময় বাগানের ভেতর থেকে একটি রাসেলস ভাইপার সাপ বেরিয়ে আসতে দেখেন তিনি। পরে অন্যান্য কৃষকদের সহযোগীতায় সাপটি পিটিয়ে মেরে ফেলেন তারা। পরে পুড়িয়ে মাটি চাপা দেয়া হয়েছে। খবর পেয়ে জীবননগর থানা পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
চুয়াডাঙ্গার পরিবেশবাদী সংগঠন ‘পানকৌড়ি’র প্রতিষ্ঠাতা ও স্কুলশিক্ষক বখতিয়ার হামিদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, এই সাপটির নাম চন্দ্রবোড়া। কিন্তু বর্তমানে ইংরেজিতে রাসেলস ভাইপার নামে পরিচিতি পাওয়ায় ও বিভিন্ন ভুল তথ্য প্রচার করায় মানুষ আতঙ্কগ্রস্ত হচ্ছে। চুয়াডাঙ্গার সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোতে এই সাপ আবহমানকাল ধরেই ছিল এবং এখনও আছে। এখন সতর্কার সাথে চলাফেরা করতে হবে। বিশেষ করে মাঠে কাজ করার সময় কৃষকদের গামবুট পরতে হবে। আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই৷ একটু সর্তক ও সচেতন থাকলে সাপ দূর্ঘটনা আমরা এড়াতে পারি।
জীবননগর থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) এস.এম জাবীদ হাসান ঢাকা পোস্টকে বলেন, মেদেনীপুর গ্রামে একটি রাসেলস ভাইপার সাপ উদ্ধার করে হত্যা করেছে স্থানীয়রা। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আমরা স্থানীয়দের আতঙ্কগ্রস্ত না হতে বলেছি। এই সাপ সম্পর্কে গ্রামের সাধারণ মানুষকে সচেতন করা হচ্ছে। এছাড়া মাঠে কাজ করার সময় কৃষকদের আরও সতর্ক হওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
প্রতিনিধি/ এসএমডব্লিউ