স্পিডবোটচালক আটক, ৮ জনের লাশ নিলেন স্বজনরা
মাদারীপুরের শিবচরের কাঁঠালবাড়ি ঘাট সংলগ্ন এলাকায় বালুবোঝাই বাল্কহেডের সঙ্গে ধাক্কা লেগে স্পিডবোটের ২৬ যাত্রী নিহতের ঘটনায় স্পিডবোটটির চালক শাহ আলমকে আটক করেছে পুলিশ।
পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার (০৩ মে) বিকেলে তাকে আটক করা হয়। দুর্ঘটনার পর শাহ আলমসহ পাঁচজনকে জীবিত উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে পুলিশ। তাকে এখন পুলিশের নজরদারিতে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে এ ঘটনায় নিহত আটজনের পরিচয় মিলেছে। তারা হলেন ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার আরজু মিয়া (৪০) ও তার দেড় বছর বয়সী ছেলে ইয়ামিন, মাদারীপুরের রাজৈর শঙ্কারদি এলাকার তাহের মীর (৩০), কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার মাইখারকান্দি এলাকার কাওসার হোসেন (৪০) ও রুহুল আমিন (৩৫), তিতাস উপজেলার ইসুবপুর এলাকার জিয়াউর রহমান (২৮), মুন্সিগঞ্জের সাতপাড় এলাকার সাগর শেখ (৩৭), পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার পসারিয়াবুনিয়া এলাকার জনি অধিকারী (২৬)।
তাদের মরদেহ স্বজনদের কাজে হস্তান্তর করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিরাজ হোসেন।
তিনি বলেন, স্পিডবোটের চালক শাহ আলমকে আটক করে পুলিশের নজরদারিতে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এ পর্যন্ত আটজনের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
শিবচর ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ইনচার্জ শ্যামল বিশ্বাস বলেন, শিমুলিয়া ঘাট থেকে যাত্রী নিয়ে স্পিডবোটটি বাংলাবাজারের দিকে যাচ্ছিল। কাঁঠালবাড়ি ঘাটের কাছে পৌঁছালে স্পিডবোটটি বালুবাহী বাল্কহেডের পেছনে ধাক্কা লেগে উল্টে যায়। এখন পর্যন্ত ২৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
কোস্টগার্ড সদর দফতরের মিডিয়া কর্মকর্তা লে. কমান্ডার আমিরুল হক ঢাকা পোস্টকে বলেন, সমন্বিত চেষ্টায় এখন পর্যন্ত ২৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর বাইরে চারজনকে জীবিত উদ্ধার করেছেন স্থানীয়রা। স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন তারা।
এএম/জেএস