থানায় গিয়ে ওসিকে বললেন, আর মাদক ব্যবসা করব না
লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে মাদক ব্যবসা ও সেবন না করার প্রতিশ্রুতিতে গদাধর দাস নামের এক যুবককে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে। রোববার (২ মে) দুপুরে রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমন তাকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন।
গদাধর রামগতি পৌরসভার চরডাক্তার এলাকার কর্ণধর চন্দ্র দাসের ছেলে।
পুলিশ জানায়, মাদক ব্যবসা ও সেবনের অভিযোগে গদাধরের বিরুদ্ধে থানায় ছয়টি মামলা রয়েছে। মামলাগুলোতে তিনি জামিনে রয়েছেন। কিন্তু তিনি আর মাদক ব্যবসা ও সেবন করবেন না বলে ওয়াদা করেছেন।
রোববার রামগতি পৌরসভার কাউন্সিলর তাপস চন্দ্র দাস, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর গীতা রানী দাস ও গদাধর স্ত্রীসহ থানায় আসেন। মাদক ব্যবসা থেকে সরে যাওয়ার প্রতিশ্রুতিতে গদাধরকে থানাফ ওসি ফুল দিয়ে বরণ করে নেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, গদাধর দীর্ঘদিন ধরে মাদকের সঙ্গে জড়িত। বেশ কয়েকবার তাকে জেলে যেতে হয়েছে। বর্তমানে জামিনে রয়েছেন। মাদকের সঙ্গে জড়িত থাকায় পরিবার ও আত্মীয়স্বজনরা তাকে পছন্দ করত না। বিভিন্নভাবে তাকে হেনস্তা হতে হয়েছিল।
শনিবার (১ মে) নিজেকে শুধরে নেবেন বলে পবিত্র গীতা ছুঁয়ে প্রতিজ্ঞা করেন। একই সঙ্গে পরিবার, আত্মীয়স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশী ও স্থানীয় কাউন্সিলরদের কাছে ক্ষমা চেয়ে মাদক থেকে দূরে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দিতে বলেন। দুই ছেলের কাছেও গদাধর ওয়াদা করেছেন, আর কখনো মাদকের সঙ্গে জড়িত হবেন না।
গদাধর দাস বলেন, মাদক আমার জীবনটা ধ্বংস করে দিয়েছে। আশপাশের মানুষগুলোও আমার থেকে দূরে থাকে। আমি আর মাদক ব্যবসা করব না। আমি সবার মাঝে ও পাশে থেকে বাঁচতে চাই।
নারী কাউন্সিলর গীতা রানী দাস ঢাকা পোস্টকে বলেন, গদাধর বুঝতে পেরেছেন মাদকের জীবন তাকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে। কারও কাছেই তার সম্মান ছিল না। এটা বুঝতে পেরে তিনি আমাদের কাছে আসেন। ভালো হওয়ার ব্যবস্থা করে দিতে বলেন। পরে গণ্যমান্য ব্যক্তিসহ তাকে থানার ওসির কাছে নিয়ে যাই। পুলিশ কর্মকর্তা তাকে ভালো হওয়ার জন্য ফুল দিয়ে বরণ করে নিয়েছেন।
রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান বলেন, গদাধর ভালো হয়ে যাবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সব ভালো কাজে পুলিশ সবার সঙ্গে আছে। এ জন্য ভালো পথে অনুপ্রাণিত করতে তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে।
হাসান মাহমুদ শাকিল/এনএ