নেত্রকোণায় চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন নিহত কনস্টেবল মনিরুল
রাজধানীর বারিধারা ডিপ্লোমেটিক জোনে ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে সহকর্মীর গুলিতে নিহত পুলিশ কনস্টেবল মনিরুল ইসলামের (২৭) দাফন সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার (১০ জুন) বেলা ১১টার দিকে নেত্রকোণার আটপাড়া উপজেলার বিষ্ণুপুর গ্রামের ঈদগাহ মাঠে জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
নিহত কনস্টেবল মনিরুল উপজেলার বিষ্ণুপুর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত শামসুল হকের ছেলে। গত শনিবার (৮ জুন) দিবাগত রাতে রাজধানীর বারিধারা ডিপ্লোমেটিক জোনে ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে সহকর্মীর গুলিতে নিহত হন মনিরুল। তারা তিন ভাই ও তিন বোন। সবার ছোট মনিরুল।
কনস্টেবল মনিরুলের মৃত্যুতে তার বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। তার দুই বছরের শিশু সন্তান তাকিকে জড়িয়ে ধরে বিলাপ করছেন স্ত্রী তানিয়া আক্তার তন্বী। মনিরুলের বৃদ্ধা মা দেলোয়ারা হক ছেলের শোকে কাঁদতে কাঁদতে বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন। কাঁদছেন মনিরুলের ভাই-বোন-স্বজনরা। মনিরুলের দুই বছর বয়সী ছেলে তাকি কিছুই বুঝতে পারছে না। স্বজন ও এলাকাবাসী মনিরুল হত্যার সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেছেন।
এলাকাবাসী জানায়, খুবই মিশুক ধরনের ছেলে ছিল মনিরুল। পরিচিত ও বন্ধু-বান্ধবসহ সবার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক ছিল তার। সবার প্রিয় এই মানুষটির এভাবে মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না তারা। তারা দ্রুত বিচার আইনে ঘাতকের বিচার দাবি করেন।
পুলিশ মনিরুলের পরিবারের পাশে থাকবে জানিয়ে আটপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাওহীদুর রহমান বলেন, ঘাতকের বিচার নিশ্চিতে পুলিশ কাজ করবে।
আরও পড়ুন
জানা যায়, ২০১৬ সালের শেষের দিকে পুলিশের চাকরিতে যোগ দেন মনিরুল। চাকরিতে থাকা অবস্থায় তিন বছর আগে জেলার পূর্বধলা উপজেলায় তানিয়া আক্তার তন্বীকে বিয়ে করেন মনিরুল। মনিরুলের বড় ভাই মাহবুব আলম টিটুও পুলিশে চাকরি করেন। তিনি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে (ডিএমপি) কর্মরত আছেন।
প্রসঙ্গত, গত শনিবার দিবাগত রাত পৌনে ১২টা থেকে ১২টা ৫ মিনিটের মধ্যে রাজধানীর বারিধারা ডিপ্লোমেটিক জোনের ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে সহকর্মীর গুলিতে নিহত হন কনস্টেবল মনিরুল ইসলাম। একই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন জাপান দূতাবাসের এক গাড়িচালকও। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার অভিযুক্ত কনস্টেবল কাউসার রিমান্ডে রয়েছে।
চয়ন দেবনাথ মুন্না/আরএআর