বরিশাল বিভাগের ১২ উপজেলায় চেয়ারম্যান হলেন যারা
ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে স্থগিত হওয়া ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের তৃতীয় ধাপের বরিশাল বিভাগের ১২টি উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই রোববার (৯ জুন) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলে। গণনা শেষে ওইদিন গভীর রাতেই বেসরকারিভাবে ফলাফল ঘোষণা করেছেন সংশ্লিষ্ট উপজেলার রিটার্নিং কর্মকর্তাগণ। ঘোষিত ফলাফলে ১২ উপজেলার একটিতে বিএনপি এবং ১১টিতে আওয়ামী লীগ-যুবলীগ-ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান নেতারা জয়ী হয়েছেন।
জেলা ভিত্তিক প্রাপ্ত ফলাফল-
বরিশাল
বরিশাল জেলার গৌরনদী উপজেলা পরিষদে কাপ-পিরিচ প্রতীকে ৪০ হাজার ৪৪৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন মনির হোসেন মিয়া। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোটরসাইকেল প্রতীকে হারিছুর রহমান পেয়েছেন ৩৬ হাজার ৯২৪ ভোট। হারিছুর রহমান একই কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র।
এদিকে আগৈলঝাড়া উপজেলায় দোয়াত-কলম প্রতীকে ২৬ হাজার ৭৫৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন যতীন্দ্র নাথ মিস্ত্রি। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে বহিষ্কৃত। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আব্দুর রইচ সেরনিয়াবাত আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ২৫ হাজার ৮৬৯ ভোট। তিনি একই কমিটির সহ-সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান।
পটুয়াখালী
পটুয়াখালী সদর উপজেলায় ঘোড়া প্রতীক নিয়ে ৩২ হাজার ৬২৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন জেলা যুবলীগের সাবেক সদস্য রেজাউল করিম। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মিজানুর রহমান আনারস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২১ হাজার ২৭২ ভোট।
এদিকে মির্জাগঞ্জ উপজেলায় কাপ-পিরিচ প্রতীক নিয়ে ২৪ হাজার ৮৫০ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিকী। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঘোড়া প্রতীকে জহিরুল ইসলাম পেয়েছেন ২০৮৯২ ভোট।
অপরদিকে দুমকী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কাপ-পিরিচ প্রতীক নিয়ে ১৪ হাজার ১০৪ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা কাওসার আমিন হাওলাদার। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হারুন অর রশীদ মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ৯ হাজার ৪২ ভোট।
বরগুনা
বরগুনার পাথরঘাটায় চেয়ারম্যান পদে দোয়াত-কলম প্রতীক নিয়ে ২৪ হাজার ১২০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এনামুল হোসাইন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী নূর আফরোজা পেয়েছেন ২২ হাজার ২২৯ ভোট।
আর বামনায় চেয়ারম্যান পদে আনারস প্রতীকে ১৭ হাজার ৬৯৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাইতুল ইসলাম লিটু ঘোড়া প্রতীকে ১০ হাজার ৯০৩ ভোট পেয়েছেন।
পিরোজপুর
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় চেয়ারম্যান পদে দোয়াত-কলম প্রতীক নিয়ে ৫৩ হাজার ৭৬৫ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বায়জিদ আহমেদ। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আনারস প্রতীক নিয়ে রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ পেয়েছেন ৫০ হাজার ৩২৯ ভোট।
ভোলা
ভোলার লালমোহন উপজেলায় দোয়াত-কলম প্রতীক নিয়ে ২৫ হাজার ৩৯৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন আক্তারুজ্জামান টিটব। তিনি লালমোহন উপজেলা বিএনপির একাংশের সাধারণ সম্পাদক। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আকতার হোসেন শালিক প্রতীকে পেয়েছেন ২৪ হাজার ৫৬৭ ভোট।
এদিকে তজুমদ্দিন উপজেলায় আনারস প্রতীক নিয়ে ২৪ হাজার ২৩১ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান পদে জয়ী হয়েছেন ফজলুল হক দেওয়ান। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী দোয়াত-কলম প্রতীকের মোশারেফ হোসেন দুলাল পেয়েছেন ২১ হাজার ৫১৭ ভোট।
ঝালকাঠি
ঝালকাঠির কাঁঠালিয়ায় চেয়ারম্যান পদে দোয়াত-কলম প্রতীকে ২০ হাজার ৩৭৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমাদুল হক মনির। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কাপ-পিরিচ প্রতীকের গোলাম কিবরিয়া সিকদার পেয়েছেন ১২ হাজার ৬৮১ ভোট।
আর রাজাপুর উপজেলায় মোটরসাইকেল প্রতীকে ২১ হাজার ৫০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিলন মাহমুদ বাচ্চু। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী দোয়াত-কলম প্রতীকের আফরোজা আক্তার লাইজু পেয়েছেন ১৬ হাজার ৮২০ ভোট।
সৈয়দ মেহেদী হাসান/এমজেইউ