‘বিএনপির নাম থাকলেই সরকারি চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হচ্ছে’
কৃষক দলের সভাপতি হাসান জাফির বলেছেন, হাজার হাজার বিএনপির কর্মী কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করে সরকারি চাকরি পাচ্ছে না। যে পরিবারে বিএনপির নাম গন্ধ আছে তাদেরকে সরকারি চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হচ্ছে। এরপরও দুই একজন যারা সরকারি চাকরিতে আছেন তাদেরকে কম গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানো হয়েছে।
রোববার (৯ জুন) সন্ধ্যা ৬টার দিকে ফরিদপুরে বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ পৌর অডিটোরিয়ামে আন্দোলনে ক্ষতিগ্রস্ত নেতাকর্মীদের সম্মাননা প্রদান ও মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, গত ১৭ বছর ধরে সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় আছে কৃষকরা। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও কৃষি উপকরণের মূল্য বৃদ্ধি কৃষকদের পথে বসিয়েছে। সরকার নানাভাবে কৃষিকে একটি অলাভজনক পেশায় রূপান্তরিত করেছে। দেশের মানুষ যখন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে হিমশিম খায় সেখানে আমরা দেখি একজন সাবেক পুলিশ প্রধানের হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পদের খবর।
এ সময় কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বলেন, আমরা সতেরো বছর ধরে একটা জুলুমবাজ অত্যাচারী শাসকের বিরুদ্ধে লড়াই করছি। এই দেশে চোর-মাফিয়া-ডাকাতরা উন্নত চিকিৎসার সুযোগ পায়, সুযোগ পান না শুধু দেশনেত্রী খালেদা জিয়া।
কর্মীদের আশ্বস্ত করে শহীদুল ইসলাম বলেন, আপনারা ভয় পাবেন না। এই সরকার শেষ সরকার না। আমরা এই ফ্যাসিবাদী সরকারকে ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের আগে উৎখ্যাত করতে পারিনি তবে আগামীতে করব।
সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদাররেছ আলী, কেন্দ্রীয় যুবদলের সহসভাপতি মাহবুবুল হাসান ভুইয়া, কৃষক দলের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আলমগীর কবির, কেন্দ্রীয় মহিলা দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী নায়েবা ইউসুফ, কৃষক দলের ফরিদপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মনিরুজ্জামান প্রমুখ।
সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা কৃষক দলের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক শহীদুল রহমান। মত বিনিমসভা শেষে বিগত সময়ে আন্দোলন ও সংগ্রামে ক্ষতিগ্রস্ত জেলা কৃষক দলের ২১জন নেতাকর্মীকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। তাদের ফুলের মালা পরিয়ে দেওয়া হয় এবং আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়।
জহির হোসেন/এএএ