মা-ছেলেকে গাছে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের চরএলাহীতে তুচ্ছ ঘটনায় মা-ছেলেকে গাছে বেঁধে নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় শনিবার (১ মে) রাত ১১টায় নির্যাতিত কিশোরের মা কোম্পানীগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এর আগে শনিবার দুপুর ১টার দিকে উপজেলার চরএলাহী ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের চরকলমি গ্রামের সাহাদাত নগরের খাল পাড়ে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- আইয়ুব খান (১৭) ও বিবি খতিজা (৩৫)। তারা উপজেলার ৮ নম্বর চরএলাহী ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের চরকলমি এলাকার জাবেদ হোসেনের ছেলে ও স্ত্রী। বর্তমানে তারা কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
নির্যাতিত কিশোরের মামা ইউছুফ জানান, তার ভাগিনা আইযুব খান দরিদ্র পরিবারের সন্তান। তারা খুব কষ্ট করে চরএলাহী ইউনিয়নের চরকলমি গ্রামে ৫ বিঘা জমিতে ইরি বোরো ধান বর্গা চাষ করে। শনিবার দুপুর ১টার দিকে স্থানীয় জাহাঙ্গীরের ১৪টি গরু আইয়ুবদের জমির ধান খেয়ে ফেলে। এটা দেখে আইয়ুব গরুগুলোকে লাঠি দিয়ে কয়েকটি আঘাত করে ধানখেত থেকে তাড়িয়ে দেয়।
এ ঘটনা দেখে গরুর মালিক জাহাঙ্গীর ক্ষিপ্ত হয়। গরুকে মারধরের অভিযোগে জাহাঙ্গীর, তার ছেলে মাসুদ ও ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী সাইফুল আইয়ুবদের বসতবাড়িতে হামলা চালায়। হামলাকারীরা আইযুব এবং তার মাকে তাদের বাড়িতেই বেধড়ক মারধর করে। এক পর্যায়ে হামলাকারীরা আইয়ুবের মাকে মারধর করে বসতঘরে ঢুকিয়ে দেয়।
ওই সময় আইযুবকে তাদের বাড়ি থেকে জোরপূর্বক উঠিয়ে হামলাকারী জাহাঙ্গীরের বাড়ির একটি কড়ই গাছের সঙ্গে দুই হাত বেঁধে ঘণ্টাব্যাপী অমানুষিক নির্যাতন চালায়। খবর পেয়ে ভুট্টু নামে এক স্থানীয় দোকানদার আইয়ুবকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে।
চরএলাহী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাক জানান, নির্যাতনের শিকার ওই কিশোরের পরিবার আমার কাছে এসেছে। বিষয়টি অমানবিক। আমি তাদের আইনের আশ্রয় নিতে বলেছি।
কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি বলেন, কিশোরের গায়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাকে আমি হাসপাতালে ভর্তি হতে বলেছি। এ ঘটনায় তার পরিবার লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
হাসিব আল আমিন/এসপি