কাঠের গুঁড়া-রঙ দিয়ে তৈরি হচ্ছে মসলা!
সুনামগঞ্জের বাদাঘাট বাজারে কারখানায় প্রস্তুত হচ্ছে ভেজাল মসলা। ভেজাল ও নিম্নমানের মসলায় ভরে গেছে তাহিরপুর উপজেলার বৃহৎ হাট বাদাঘাট বাজার। আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে বাজারে এখন মসলার ব্যাপক চাহিদা। সেই চাহিদায় বেশি লাভের আশায় ভেজাল ও নিম্নমানের মসলা তৈরি করতে ব্যস্ত বাদাঘাটের মসলা কারখানা।
নিত্যপ্রয়োজনীয় এসব মসলায় ইট, অটো মিলের কুড়া ও কাঠের গুঁড়া মিশিয়ে উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে পাইকারি ও খুচরা বিক্রি হচ্ছে।
শুক্রবার (৭ জুন) ভেজাল মসলার বিষয়ে বাদাঘাট বাজারের মো. আহাদ উল্লাহ নামে এক ব্যক্তি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভেজাল মসলার ছবিসহ ভিডিও পোস্টে করেন। তাতে লিখেন ‘বাদাঘাট বাজার মসলা বানানোর কারখানা। কাঠের গুঁড়া, আটার কুড়া, আর সাথে দিচ্ছে লাল রঙের ক্যামিক্যাল। আর অল্প কিছু মরিচ। সব একসাথে মিশিয়ে এগুলিকে মিশিয়ে বাজারজাত করানো হয়। আর সাধারণ মানুষ এগুলো বাজার থেকে কিনে খায়। আমি প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। এগুলো যেন একটু নজরে নেন। মানুষকে কীভাবে বোকা বানানো হয় তা আমি আজ নিজ চোখে দেখলাম।’ তার এ লেখাটি সন্ধ্যায় পোস্ট করা মাত্র মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায় এবং শতাধিক শেয়ার হয়।
পবিত্র ঈদকে সামনে রেখে অসাধু ব্যবসায়ীরা এই কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। আসন্ন কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে দোকানে দোকানে পৌঁছে গেছে এসব ভেজাল ও স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর মসলা। এসব মসলার মধ্যে মরিচের সঙ্গে ইটের গুঁড়া, হলুদে মটর ডাল, ধনিয়ায় ‘স’ মিলের কাঠের গুঁড়া ও পোস্তদানায় সুজি মেশানো হচ্ছে। বেশি মুনাফা লাভের আশায় বাদাঘাট বাজারের মসলা ভাঙানোর মিলগুলো এসব ভেজাল মসলার যোগান দিচ্ছে।
বালিজুড়ী গ্রামের বাসিন্দা আব্দুস ছত্তার বলেন, বাদাঘাট বাজার হচ্ছে তাহিরপুর উপজেলার পাইকারী হাট । ওখান থেকেই উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারের পাইকারগণ মসলা কিনে নিয়ে উপজেলার সবকটি হাটবাজারে বিক্রি করে থাকে।
তাহিরপুর এলাকার বাসিন্দা রবিন বলেন, অসাধু দোকানদাররা বেশি লাভের আশায় এসব ভেজাল মসলা বেশি বিক্রি করছে। ঈদ সবার জন্য আনন্দ বয়ে আনে, কিন্তু এদের মতো ব্যবসায়ীদের কারণে অনেক পরিবার ধ্বংস হয়।
তাহিরপুর উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর মকবুল হোসেন বলেন, বাদাঘাট বাজারের মসলা মিলগুলো ভেজাল মসলা তৈরি করছে অনেকেই আমার কাছে অভিযোগ করেছে। বিষয়টি আমি সরজমিনে দেখে ব্যবস্থা নেব।
আরকে