নিজ গ্রামে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন অভিনেত্রী সীমানা
অভিনেত্রী সীমানাকে নিজ জেলা শেরপুরের নকলা উপজেলার বাজারদী গোরস্থানে সমাহিত করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে নকলার কায়দা বাজারদী গোরস্থান মাঠে জানাজা শেষে সীমানার মরদেহ নিজ গ্রামের বাজারদী গোরস্থানে দাফন করা হয়।
এর আগে মঙ্গলবার (৪ জুন) ভোরে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান সীমানা। মৃত্যুকালে স্বামী ও দুই ছেলে রেখে গেছেন তিনি। সীমানার বাড়ি নকলা পৌরসভাধীন কায়দা বাজারদী এলাকায়। তার বাবা সেকান্দার আলী অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা। দুই বোন এক ভাইয়ের মধ্যে সীমানা সবার বড় ছিলেন।
গত ২১ মে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হলে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালে আট দিন চিকিৎসাধীন ছিলেন সীমানা। অবস্থার অবনতি হলে ২৯ মে এই অভিনেত্রীকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে তাকে ভেন্টিলেশনে শেষ চেষ্টা হিসেবে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। কিন্তু আর ফেরা হলো না সীমানার।
প্রসঙ্গত, নকলা ললিতকলা একাডেমী, খেলাঘর, কোর্টফিল্ড, কমল ওস্তাদজী, শিল্পকলায় অভিনয় চর্চা করতেন। এরপরে বিটিভিতে কাজ করা শুরু করেন। ২০০৬ সালে লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শোবিজে পা রাখেন সীমানা। এরপর থেকে তিনি নাটক, বিজ্ঞাপনে নিয়মিত কাজ করেন। তৌকীর আহমেদ পরিচালিত 'দারুচিনি দ্বীপ' তার প্রথম সিনেমা। 'রোশনী' নামের একটি সিনেমাতে অভিনয় করেছেন। সীমানার উল্লেখযোগ্য নাটকের মধ্যে সাকিন সারিসুরি ও কলেজ টুডেন।
এমএএস