নতুন রেকর্ড গড়ে চেয়ারম্যান হলেন দিদার
তৃতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়ে ভিন্ন রেকর্ড গড়েছেন ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি দিদারুল কবির রতন।
টানা ১৫ বছর উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনের পর চতুর্থ মেয়াদে নির্বাচিত হয়ে ফেনীর আওয়ামী রাজনীতির ইতিহাসে একটানা চার বারের উপজেলা চেয়ারম্যানের রেকর্ড গড়েছেন তিনি।
গতকাল রাতে অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা (কুমিল্লা অঞ্চল) ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ নাজিম উদ্দিন এ ফলাফল ঘোষণা করেন।
ফলাফল পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, দোয়াত-কলম প্রতীকে দিদারুল কবির রতন পেয়েছেন ১ লাখ ১৭ হাজার ১৫৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী চিংড়ি মাছ প্রতীকের প্রার্থী বিজন ভৌমিক পেয়েছেন ৩ হাজার ১৬৬ ভোট।
জানা গেছে, ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী দিদারুল কবির রতন মেয়াদকাল পূর্ণ করতে পারলেই জীবনের এক তৃতীয়াংশ সময় উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে কাটাবেন। এর আগে জেলার পরশুরাম উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন মজুমদার সর্বোচ্চ টানা তিন মেয়াদে উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন।
অপ্রতিদ্বন্দ্বী দিদারের দাগনভূঞা উপজেলার আওয়ামী রাজনীতিতে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নেই এমনটাই বলছেন স্থানীয়রা। এজন্য অনেকটা বাধ্য হয়েই দিদারের ওপর ভরসা করতে হচ্ছে ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের।
এ ব্যাপারে অনুভূতি ব্যক্ত করে দিদারুল কবির রতন ঢাকা পোস্টকে বলেন, এমন নজির গড়তে পেরে অনেক ভালো লাগছে। গত ১৫ বছর উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে মানুষের জন্য কাজ করেছি। সাধারণ মানুষ আমাকে ভালোভাবে গ্রহণ করেছেন। তারই ধারাবাহিকতায় এবারের নির্বাচনেও জনগণ আমার পক্ষে রায় দিয়েছেন।
দাগনভূঞার আওয়ামী রাজনীতিতে নিজের অপ্রতিদ্বন্দ্বীতা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি দাগনভূঞা উপজেলা আওয়ামী লীগের কোনো দায়িত্বে নেই। তারপরও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারীর নির্দেশনায় দলকে ভালোবেসে উপজেলায় কাজ করি। উপজেলার মানুষের জন্য কাজ করতে সবসময়ই ভালো লাগে। সেজন্য দলও আমার ওপর আস্থা রাখে।
আরও পড়ুন
দিদারুল কবির রতন ২০০৯ সালে প্রথমবারের মত দাগনভূঞা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালে দ্বিতীয়বার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। পরবর্তী ২০১৯ সালের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান হয়ে হ্যাট্রিক করেন তিনি।
দিদারুল কবির রতন ১৯৯০ সালে ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার আতাতুর্ক মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে ছাত্র রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। উচ্চ মাধ্যমিকে ভর্তি হওয়ার পরেই দাগনভূঞা ইকবাল মেমোরিয়াল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পান তিনি। পরবর্তী উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি থেকে পর্যায়ক্রমে ২০০৩ সালে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেন। ২০১১ সালে জেলা আওয়ামী যুবলীগের আহ্বায়ক ও ২০১৬ সালে জেলা যুবলীগের সভাপতির দায়িত্ব নেন দিদার।
তারেক চৌধুরী/এনএফ