সব হারিয়ে নিঃস্ব চানন্দীর জাফর
একদিকে মেঘনার ভাঙন অন্যদিকে ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে সব হারিয়ে নিঃস্ব মো. জাফর। স্ত্রী সন্তান নিয়ে আছেন খোলা আকাশের নিচে। সোমবার (২৭ মে) বিকেলে ঘূর্ণিঝড় শেষে বাড়ি এসে দেখেন তার বসতঘর লণ্ডভণ্ড হয়ে পড়ে আছে। স্ত্রীর সহযোগিতায় উদ্ধারের চেষ্টা করলেও বিফলে যায় সে চেষ্টা। পার্শ্ববর্তী মানুষের সহায়তায় করেছেন রাত্রীযাপন।
মো. জাফর হাতিয়া ইউনিয়নের চানন্দী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের থানারহাট এলাকার বাসিন্দা। কেবল জাফর নয় ঘূর্ণিঝড় রেমালে এমন অসংখ্য জাফরের বসতঘর বিধ্বস্ত হয়েছে।
মো. জাফর ঢাকা পোস্টকে বলেন, কিছুই রক্ষা করতে পারিনি। নদী খেয়ে ফেলসে বসতঘর। ঝড় শেষে বাড়ি এসে দেখি সব লণ্ডভণ্ড। নদী ভাঙন রোদ হলে ভিটেমাটিতে থাকতে পারতাম। এখন নদীও গিলে খাচ্ছে আমাদের। আল্লাহ রক্ষা করা ছাড়া উপায় নেই।
চানন্দী ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. আকবর ছাদেক ঢাকা পোস্টকে বলেন, চানন্দী ইউনিয়নে থানার হাট এলাকার অনেক বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। মো. জাফরসহ অনেকের বসতঘরের মালামাল নদীতে ভেসে গেছে। মাথা গোঁজার ঠাঁই হারিয়ে পরিবার নিয়ে জাফর মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
চানন্দী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আজহার উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, খবর পেয়ে আমি জাফরসহ বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্তের বাড়িতে গেছি। মানুষ খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছেন। সব কিছু আমাদের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলী সাহেবকে জানিয়েছি। নদী ভাঙন রোধে তিনি কাজ করছেন বলে আমাকে জানিয়েছেন।
নোয়াখালী-৬ (হাতিয়া) আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলী ঢাকা পোস্টকে বলেন, হাতিয়া দ্বীপের হাতিয়ার অসংখ্য মানুষ গৃহহীন, ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। লোকজন মানবেতর জীবনযাপন করছেন। অনেকের ঘর ভেঙে গেছে। দেড়লাখ মানুষ পানিবন্দি। বিভিন্ন এলাকার ১০০ কিলোমিটার কাঁচা সড়কের ৬০ শতাংশ সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে। বিপদগ্রস্ত মানুষের জন্য খাবারসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিষয়টি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।
হাসিব আল আমিন/আরকে