রেমালের তাণ্ডবে নোয়াখালীতে সাড়ে তিন হাজার বাড়িঘর বিধ্বস্ত
প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে নোয়াখালীর উপকূল ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে অসংখ্য গ্রাম। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন হাজার হাজার মানুষ।
এছাড়া শক্তিশালী এ ঝড়ে বিধ্বস্ত হয়েছে ৩ হাজার ৩৭৬ টি ঘরবাড়ি। ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ৫৩ হাজার ৪৫০ জন মানুষ। সাগরের লোনা পানিতে ভেসে গেছে ফসলের মাঠ, ঘের-পুকুর।
সোমবার (২৭ মে) রাত ১০ টায় ঢাকা পোস্টকে এসব তথ্য জানিয়েছেন জেলা ত্রাণ ও পুর্নবাসন কর্মকর্তা মো. জাহিদ হাসান খান।
তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে জেলার ৩ হাজার ৩৭৬ টি ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। বিভিন্ন উপজেলার ২৬ টি ইউনিয়ন সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিভিন্ন উপজেলার সঙ্গে জেলা শহরের অসংখ্য গাছপালা উপড়ে পড়েছে। ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় ৫৩ হাজার ৪৫০ মানুষ। এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
সরকারি এ কর্মকর্তা আরও বলেন, এখনো বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া বইছে। নিঝুমদ্বীপসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে জোয়ারে প্লাবিত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তের তালিকা আরও বাড়তে পারে। আমরা সাতদিন পর সকল বিভাগের সমন্বয়ে একটি চূড়ান্ত রিপোর্ট তৈরি করব। সেখানে সকল তথ্য একসাথে যুক্ত থাকবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড নোয়াখালীর নির্বাহী প্রকৌশলী মুন্সী আমির ফয়সাল ঢাকা পোস্টকে বলেন, নোয়াখালী জেলায় ৫৬০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ রয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ কোথাও কোনো বেড়িবাঁধ ভেঙে যায়নি। তবে আমাদের কোম্পানীগঞ্জের চর এলাহী ইউনিয়নের একটি নিচু বেড়িবাঁধ রয়েছে। সেটি উপচে পানি পড়েছে। ফলে বেড়িবাঁধটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে কিছু কিছু জায়গায় স্লোপ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা স্থানীয় জনগণ, জনপ্রতিনিধি ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের সদস্যদের নিয়ে সেসব মেরামত করেছি।
জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, যেসব এলাকা নিম্নাঞ্চল সেসব জায়গায় জোয়ারের পানি প্রবেশ করেছে। বিশেষ করে নিঝুমদ্বীপ, ঢালচর ও চর ঘাষিয়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা কিছু প্রকল্প হাতে নিয়েছি। আশাকরি সেসব বাস্তবায়ন হলে এসব নিম্নাঞ্চলের মানুষ কম ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এছাড়াও সকল ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় আমাদের সরকারি সহায়তা অব্যাহত আছে।
হাসিব আল আমিন/এমটিআই