আজ রাতে যে পানি উঠেছে, সিডরের সময়ও এমন হয়নি
বরগুনায় ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে বিভিন্ন এলাকায় জোয়ারের পানিতে বসতঘর তলিয়ে গেছে। এতে বিপাকে পড়েছেন এসব এলাকার বাসিন্দারা। এ ছাড়া বরগুনার দুটি ফেরির ঘাটও প্লাবিত হয়েছে জোয়ারের পানিতে।
সরেজমিনে বরগুনার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সন্ধ্যার পর থেকে ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গেই স্বাভাবিক জোয়ারের তুলনায় পানি বৃদ্ধি পেয়ে লোকালয়ে প্রবেশ করেছে। দিনের বেলায় পানির চাপ কম থাকলে রাতে প্রায় স্বাভাবিকের তুলনায় ৮ থেকে ১০ ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে বরগুনা পৌর শহরসহ বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বসতঘরসহ পানি ঢুকে পড়েছে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে।
বরগুনা সদর উপজেলার ২ নং গৌরীচন্না ইউনিয়নের বাসিন্দা গোলাম মোস্তফা ঢাকা পোস্টকে বলেন, আজ রাতে যে পানি উঠেছে তা দেখে মনে হয় সিডরের সময়ও এমন ওঠেনি। আমার দুটি ঘরের একটি নিচু হওয়ায় সে ঘরে পানি উঠে বিভিন্ন আসবাবপত্র ভিজে গেছে।
একই এলাকার আরেক বাসিন্দা আব্দুল কুদ্দুস ঢাকা পোস্টকে বলেন, সকাল থেকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত শুনলেও আবহাওয়া দেখে তেমন বোঝা যায়নি। দিনেও একবার নদীতে পানি বেড়েছে, তবে ঘর পর্যন্ত আসেনি। রাতের জোয়ারে আমার ঘরে পানি প্রবেশ করেছে।
এ বিষয়ে বরগুনার পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পরিমাপক মো. খাইরুল ঢাকা পোস্টকে বলেন, স্বাভাবিক জোয়ারের থেকে রাতে প্রায় ৮ থেকে ১০ ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। রাত ২টার পরে নদীতে ভাটা শুরু হলে পানি নেমে যাবে।
আব্দুল আলীম/আরএআর/এমজে