‘তিনি তো কারও ক্ষতি করেননি, কেন তাকে মেরে ফেলল’
‘আমাদের জামাই কীভাবে চলে গেল। তার সব টাকা পয়সা নিয়ে যেত, আমাদের জামাইকে ফিরিয়ে দিত। কেন এভাবে নিয়ে গেল। তিনি তো কারও ক্ষতি করেননি। তাকে কেন মেরে ফেলল। আমরা এর বিচার চাই।’
বুধবার (২২ মে) দুপুরে নিহত সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিমের বাড়ির নিচে বিলাপ করতে করতে কথাগুলো বলছিলেন তার চাচি শাশুড়ি কালীগঞ্জ পৌরসভার সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর বিনা খাতুন।
পাশেই আনোয়ারুল আজিমের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বসে বিলাপ করছিলেন সহযোগী রুবেল হোসেন। তিনি বলেন, ভারত যাওয়ার আগে তার সঙ্গে শেষ কথা হয়। এ সময় তিনি বলেছিলেন, গরিব মানুষের চেকগুলো তুলে রাখ। আমি ফিরে এসে চেকগুলো বিতরণ করবো। তিনি চলে গেলেন এখন এসব মানুষদের কথা কে ভাববে?
ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম গত ১২ মে কলকাতায় যান। সেখানে গোপাল বিশ্বাস নামে এক পরিচিত ব্যক্তির বাসায় ওঠেন তিনি। এরপর থেকে নিখোঁজ ছিলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান আজ জানিয়েছেন, আনোয়ারুল আজিম ভারতে খুন হয়েছেন।
ভারতে আনোয়ারুল আজিম খুন হওয়ার সংবাদ পাওয়ার পর তার দলীয় কার্যালয়ে উপস্থিত শতশত মানুষ কান্নায় ভেঙে পড়েন। আনোয়ারুল ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ শহরের ভূষণ রোডের বাড়িতে বসবাস করতেন। তার দুই মেয়ে ও স্ত্রী রয়েছেন।
কালীগঞ্জ উপজেলার ১নং সুন্দরপুর-দূর্গাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ওহিদুজ্জামান ওদু ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা তার মৃত্যুর সংবাদ শুনে রাজনৈতিক কার্যালয়ের সামনে এসেছি। কীভাবে তার মৃত্যু হয়েছে তা বলতে পারছি না। এমপির সঙ্গে কারো কোনো বিরোধ ছিল না।
আব্দুল্লাহ আল মামুন/এএএ