রাজশাহীতে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ৮
রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে আটজন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (২১ মে) সকালে গোপালপুর উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ঘোড়া প্রতীকের চেয়ারম্যানপ্রার্থী আব্দুল মজিদ সরদার ও মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী শরীফুজ্জামান শরীফের সমর্থদের মাঝে ভোটকেন্দ্র দখলের চেষ্টাকালে এ সংঘর্ষ ঘটে।
এ ঘটনায় আহতরা হলেন- গোপালপুর গ্রামের ঘোড়া প্রতীকের সমর্থক আমজাদ হোসেন (৪৬), আছের প্রামানিক (৪০), শহিদুল ইসলাম (৩৬) ও মিঠুন আলী (২৬) এবং মোটরসাইকেল প্রতীকের সমর্থক সান্টু (২৫), নান্টু (৩৫), রাজ্জাক (৫০) ও আব্দুল হাকিম (৪৫)।
আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়েছে। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এদিকে দুর্গাপুর উপজেলার কালীগঞ্জেও এই দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে দেশীয় অস্ত্র প্রদর্শন করা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি, পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
দুর্গাপুর উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা স্বীকৃতি প্রামানিক জানান, ভোটকেন্দ্রের বাইরে বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ভোটগ্রহণ চলছে।
এ বিষয়ে রাজশাহী জেলা নির্বাচন অফিসার শাহিনুর ইসলাম প্রামানিক বলেন, দুর্গাপুরে একটু সমস্যা হয়েছিল। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনে। বর্তমানে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে জেলার তিন উপজেলায় ভোটগ্রহণ চলছে।
প্রসঙ্গত, দুর্গাপুর উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৫৯ হাজার ৯৩৩টি। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৮০ হাজার ৫১ জন, আর নারী ভোটার ৭৯ হাজার ৮৮১ জন। এ ছাড়া তৃতীয় লিঙ্গ ভোটার রয়েছে একজন। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ঘোড়া প্রতীক নিয়ে লড়ছেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি আব্দুল মজিদ সরদার, আর মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে লড়ছেন দুর্গাপুর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শরিফুজ্জামান শরিফ। এ ছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) পদে উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের (টিউবওয়েল), শ্রমিকলীগ নেতা শামিম ফিরোজ (তালা) প্রতীক নিয়ে লড়ছেন। আর নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান বানেছা বেগম (ফুটবল) ও সাবেক ইউপি সদস্য কোহিনুর বেগম (কলস) প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
শাহিনুল আশিক/এমজেইউ