লক্ষ্মীপুরের দুই উপজেলায় চলছে ভোটগ্রহণ, ভোটার উপস্থিতি কম
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে লক্ষ্মীপুরের রায়পুর ও রামগঞ্জ উপজেলা ভোটগ্রহণ চলছে। মঙ্গলবার (২১ মে) সকাল ৮টা থেকে দুই উপজেলার ১৮১টি কেন্দ্রে একযোগে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে এ ভোটগ্রহণ। এদিকে সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে ২২ জন ম্যাজিস্ট্রেটসহ পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।
সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ৮টা পর্যন্ত রামগঞ্জ পৌরসভার পশ্চিম আঙ্গারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চন্ডীপুর ইউনিয়নের ফতেহপুর জামিউল উলুম ফাজিল মাদরাসা ও দরবেশপুর ডিএইচএ একাডেমি ভোটকেন্দ্রে হাতে গোনা কয়েকজন ভোটার দেখা গেছে। এ কেন্দ্রগুলোতে ভোটার উপস্থিতি সন্তোষজনক ছিল না।
রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, রায়পুর ও রামগঞ্জ উপজেলায় ৫ লাখ ১১ হাজার ৯৬ জন ভোটার রয়েছে। এ দুই উপজেলা ৬ জন চেয়ারম্যান, ৫ জন ভাইস চেয়ারম্যান ও ৭ জন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণের লক্ষ্যে ভোটকেন্দ্র এলাকায় পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়োগ দেওয়া আছে। ৪ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় ভোটগ্রহণ চলবে।
জানা গেছে, রায়পুরে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে মামুনুর রশিদ (আনারস) ও আলতাফ হোসেন হাওলাদার মাস্টার (মোটরসাইকেল) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন এবিএম বারাকাত বিন জাকারিয়া (টিউবওয়েল) ও মো. আনেয়ার হোসেন (তালা) এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে হাসিনা আক্তার (কলস), কোহিনুর বেগম (ফুটবল) ও হাজী মাজেদা বেগম (প্রজাপ্রতি)। এ উপজেলায় একটি পৌরসভা ও ১০টি ইউনয়নে ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৪৬ হাজার ৮৬৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ২৭ হাজার ৫০২ এবং নারী ১ লাখ ১৯ হাজার ৩৬৬ জন। উপজেলার ৭৯টি কেন্দ্রে ভোটের আয়োজন করা হয়।
এদিকে রামগঞ্জ উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে মো. ইমতিয়াজ আরাফাত (আনারস), মো. দেলোয়ার হোসেন দেওয়ান বাচ্চু (মোটরসাইকেল), ফয়েজ বক্স বাবুল (দোয়াত কলম) ও মো. মোশাররফ মুশু (ঘোড়া) প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে সোহেল রানা (তালা), মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান (চশমা) ও কামরুল হাসান (টিউবওয়েল) এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আমেনা আক্তার (কলস), সামসেদ আক্তার (ফুটবল), রোকসানা সামসুদ্দিন (হাঁস) ও সুরাইয়া আক্তার (পদ্মফুল) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ উপজেলায় একটি পৌরসভা ও ১০ টি ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৬৪ হাজার ৬২৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৩৬ হাজার ৬১০ জন ও নারী ভোটার ১ লাখ ২৮ হাজার ১৮ জন। এখানে ১০২টি ভোটকেন্দ্রে ভোটের আয়োজন করা হয়।
নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট প্রিয়াংকা দত্ত বলেন, নির্বাচনী মাঠে ২২ জন ম্যাজিস্ট্রেট কাজ করছেন। পুলিশ ও বিজিবিসহ পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক রয়েছে।
হাসান মাহমুদ শাকিল/আরকে