নাটোরে চেয়ারম্যানপ্রার্থীর প্রধান সমন্বয়কারীকে পিটিয়ে জখম
নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যানপ্রার্থী বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা জাহাঙ্গীর হোসেন মানিকের প্রধান সমন্বয়কারী শহিদুল ইসলামকে (৪২) পিটিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। জাহাঙ্গীর হোসেন মানিকের অভিযোগ নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বী আনারস প্রতীকের প্রার্থী শরিফুল ইসলাম শরিফের লোকজন এই হামলা চালিয়েছে।
রোববার (১৯ মে) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার ফাগুয়ারদিয়ার ইউনিয়নের সাতশৈল এলাকায় এই হামলার ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় শহিদুলের বাবা বেলাল হোসেন বাদী হয়ে ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে বাগাতিপাড়া মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলার এক আসামিকে গ্রেপ্তারের কথা ঢাকা পোস্টকে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম।
গ্রেপ্তারকৃত হলেন এজাহারে উল্লিখিত ৬ নম্বর আসামি বাগাতিপাড়া উপজেলার হিজলি গ্রামের মৃত ইব্রাহিমের ছেলে মো. আনসার আলী (৩২)।
এলাকাবাসী ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রোববার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে শহিদুল ইসলামের বাড়িতে বেশ কয়েকজন দেশীয় অস্ত্রসহ মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা দরজা ভেঙে প্রবেশ করে। তারপর তাকে রড, লাঠিসোঁটা দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করে। শহিদুলের চিৎকারে আশপাশের বাড়ির লোকজন এগিয়ে এলে মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। এরপর স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। বর্তমানে তিনি সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ বিষয়ে মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যানপ্রার্থী জাহাঙ্গীর হোসেন মানিক ঢাকা পোস্টকে বলেন, নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পর দল থেকে বহিষ্কৃত হয়েছি। আমার ওপরও হামলা চালিয়েছে প্রতিপক্ষ আনারস প্রতীকের প্রার্থীর লোকজন। গতকাল রাতে আমার নির্বাচন পরিচালনার প্রধান সমন্বয়কারীর দায়িত্বে থাকা শহিদুল ইসলামের বাড়িতে হামলা চালিয়ে তাকে ব্যাপক মারধর করা হয়েছে। আগামীকাল ভোট, সাধারণ ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে যেতে না পারে, তার জন্যই শরিফের লোকজন এমন কাজ করছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আনারস প্রতীকের প্রার্থী শরিফুল ইসলাম শরিফ ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমার লোকজন প্রতিপক্ষ প্রার্থীর সমন্বয়কারীকে মারধর করার প্রশ্নই উঠে না। সে বিএনপি করতো, তাকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে। বিএনপির একটা পক্ষ তাদের কর্মী-সমর্থকদের ভোটকেন্দ্রে যেতে নিষেধ করছে। তারাই ভোটে আসা প্রার্থীর সমন্বয়কারীকে মারধর করেছে, আর নাম হচ্ছে আমার।
পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, প্রার্থীর প্রধান সমন্বয়কারীকে মারধরের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে।
এ বিষয়ে নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মাছুদুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হামলার ঘটনায় প্রার্থীর সংশ্লিষ্টতা থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গোলাম রাব্বানী/এমজেইউ