মালিকের দেনার জেরে পাওনাদারের হাতে নিরাপত্তাকর্মী খুন
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে মালিকের দেনার জেরেই পাওনাদারের হাতে খুন হন নিরাপত্তাকর্মী আব্দুল কুদ্দুস (৫৫)। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
শ্রীনগর উপজেলায় অবস্থিত স্টিল অ্যান্ড রি-রোলিং কারখানার মালিক মো. মাহাথির উদ্দিনের কাছে টাকা পেতেন মো. শহিদুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি। ওই প্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তাকর্মীর কাজ করতেন আব্দুল কুদ্দুস। মালিকপক্ষ শহিদুলের পাওনা পরিশোধ করছিল না। টাকা না পেয়ে ক্ষিপ্ত হন শহিদুল। তার জের ধরে বৃহস্পতিবার (৯ মে) দিবাগত রাতে শহিদুলসহ তিন ব্যক্তি গলাকেটে হত্যা করেন নিরাপত্তাকর্মী আব্দুল কুদ্দুসকে।
শনিবার (১১ মে) দুপুরে শ্রীনগর থানায় সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানান শ্রীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তোফায়েল হোসেন সরকার। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত তিনজনকেই আটক করা হয়েছে।
আটকরা হলেন- ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের তেঘুরিয়া এলাকার বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম (৪০), একই এলাকার রতন হোসেন (৩৪) ও মাদারীপুরের শিবচরের মাদবরবাড়ী এলাকার বাসিন্দা জাবেদ হোসেন (৪৩)।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তোফায়েল হোসেন সরকার বলেন, শ্রীনগর উপজেলার কুকুটিয়া ইউনিয়নের সুরদিয়া এলাকার ওই কারখানার মালিক মো. মাহাথির উদ্দিনের কাছে শহিদুল ইসলামের ব্যবসায়িক লেনদেনের কিছু টাকা পাওনা ছিল। মিলের মালিকের কাছে শহিদুল পাওনা টাকা চেয়ে তাগাদা দিয়ে আসছিলেন। টাকা দিতে গড়িমসি করছিল মালিকপক্ষ। শহিদুলের ধারণা ছিল, কারখানার মালিক মাহাথির, নিরাপত্তাকর্মী কুদ্দুসরা শহিদুলের টাকা আত্মসাৎ করেছে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন শহিদুল ইসলাম। বৃহস্পতিবার শহিদুল তার দুই সহযোগী রতন হোসেন ও জাবেদ হোসেনকে নিয়ে কারখানায় প্রবেশ করেন। রাতে তারা কুদ্দুসকে চেয়ারের সঙ্গে হাত-পা বেঁধে জবাই করে হত্যা করেন। হত্যার পরে তারা দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান।
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ঘটনার আলামত, বিভিন্ন সূত্রের মধ্যে শহিদুলের বিষয়টি আমরা জানতে পারি। শুক্রবার রাতে পবরর্তীতে শ্রীনগর থানা পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা শাখার সমন্বয়ে মাদারীপুর ও মাগুরা জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করা হয়। শনিবার সকাল পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে শহিদুল ইসলাম, রতন হোসেন ও জাবেদ হোসেনকে আটক করা হয়। আটকের পর তারা হত্যার ঘটনাটি আমাদের জানান।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তোফায়েল হোসেন সরকার বলেন, ভিকটিমের স্ত্রী মামলার বাদী হবেন। তিনি ঝালকাঠি থেকে এজাহার দায়ের করতে আসছেন। তাই মামলা করতে বিলম্ব হচ্ছে। মামলা দায়েরের পর আটকদের আদালতে পাঠানো হবে।
ব.ম শামীম/আরএআর