আমি মন্ত্রী হলে আপনারা যা চাইবেন দিয়ে যাব
নেতৃত্বের প্রতি যদি বিশ্বাস থাকে তাহলে কম যোগ্যতাসম্পন্ন মানুষ দিয়েও বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বানানো যায় বলে মন্তব্য করেছেন হবিগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীজী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। শুক্রবার (১০ মে) বিকেলে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া সরকারি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ব্যারিস্টার সুমন ফুটবল একাডেমি বনাম কাশফিয়া ফুটবল একাডেমির মধ্যকার প্রীতি ফুটবল ম্যাচ শেষে তিনি এ কথা বলেন।
ব্যারিস্টার সুমন বলেন, আমি জীবনে আসি নাই পঞ্চগড়। আজকে আসার পর মুক্তা ভাই (পঞ্চগড়-১ আসনের সংসদ সদস্য নাঈমুজ্জামান ভূঁইয়া মুক্তা) ও মিলন (বাংলাবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কুদরত-ই-খুদা মিলন) আমাকে যে সম্মান দেখিয়েছেন আমি আর জীবনেও পঞ্চগড় ছাড়ব না। সারাজীবন এখানে থাকব। যদি মুক্তা ভাইয়ের আগে আমি মন্ত্রী হই, তাহলে আপনারা যা চাইবেন দিয়ে যাব। আর যদি মুক্তা ভাই আমার আগে মন্ত্রী হন, তাহলে আপনিও এখানে কথা দিয়ে যান আমার এলাকায় গিয়ে আপনিও কিছু দিয়ে আসবেন।
তিনি আরও বলেন, পঞ্চগড়ের মানুষ খুবই অতিথি পরায়ন। এখানে এসে বুঝতে পেরেছি এখানকার মানুষ কতোটা আন্তরিক। কতোটা ভালোবাসতে পারে। এখানে আসার আরেকটি কারণ হচ্ছে সরকারের উন্নয়ন কতোটা হয়েছে তা দেখা। আমি বিশ্বাস করি বর্তমান পঞ্চগড়-১ আসনের সংসদ সদস্য নাঈমুজ্জামান ভুইয়াঁ মুক্তা ভাই এখানে নতুন কিছু উদাহরণ তৈরি করবেন। এ জন্য আমাদের হবিগঞ্জে ঘুরে আসার আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। সেই সঙ্গে এ খেলার আয়োজক বাংলাবান্ধা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কুদরত-ই-খুদা মিলনকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমি বিশ্বাস করি পঞ্চগড়ের এমপি মুক্তা ভাই ও মিলন এ ধরনের ব্যক্তিদের কর্ম পরিকল্পনায় জেলার উন্নয়ন প্রসারিত হবে।
এ সময় নীলফামারীর-৪ আসনের সংসদ সদস্য সিদ্দিকুল আলম, তেঁতুলিয়া উপজেলার নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন খান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফজলে রাব্বি, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহবুবুল হাসান, তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুজয় কুমার রায়, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সুলতানা রাজিয়া, তৌহিদ হাসান তুহিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ইয়াসিন আলী মন্ডল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বিকেল ৪টায় তেঁতুলিয়া সরকারি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে শুরু হয় ফুটবল খেলা। ব্যারিস্টার সুমন আসার খবরে দুপুর থেকেই খেলা দেখতে ঐতিহ্যবাহী এ স্কুল মাঠটিতে বাড়তে থাকে দর্শকের উপস্থিতি। বিকেলে পুরো মাঠ পূর্ণ হয়ে যায় দর্শকে। খেলা শুরুর আগে মাঠজুড়ে দর্শকদের মুখে ‘সুমন, সুমন’ ধ্বনি উচ্চারিত হলে মাঠ ঘুরে দর্শকদের হাত নেড়ে জবাব দেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
খেলাটি পরিচালনা করেন সাজেদার রহমান রাজু। তাকে সহযোগিতা করেন আব্দুর রাজ্জাক, হুমায়ুন কবির হিটলার আসাদুজ্জামান আসাদ। খেলার ধারাভাষ্য দেন দিনাজপুরের তরুণ জয়নাল আবেদীন সোহেল।
খেলায় প্রথম অংশে গোল না হলেও দ্বিতীয় অংশে মাঠে নামেন ব্যারিস্টার সুমন। তার কয়েক মিনিট পর ১-০ গোলে কাশফিয়া ফুটবল একাডেমির গোল বক্সে গোল হলে দর্শকদের করতালিতে মুখরিত হয়ে উঠে পুরো মাঠ। শেষ পর্যন্ত কাশফিয়া ফুটবল একাডেমি কোনো গোল দিতে না পারায় ব্যারিস্টার সুমনের ফুটবল একাডেমি জিতে নেয় জয়ের ট্রফি।
খেলা দেখতে আসা দর্শকরা বলেন, আমরা টিভিতে ও লাইভে ব্যারিস্টার সুমন ফুটবল একাডেমির খেলা দেখে আসছি। যখনই শুনেছি পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় তিনি ফুটবল খেলতে আসছেন। তা শোনার পর থেকেই ছুটে এসেছি।
এসকে দোয়েল/আরএআর