নাটোরে চেয়ারম্যান প্রার্থী মিলনের সমর্থকের ওপর হামলার অভিযোগ
নাটোর সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে প্রচারণায় বাঁধা দিতে আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী জামিল হোসেন মিলনের এক সমর্থকের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বিকেলে সদর উপজেলার দত্তপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। দোয়াত কলম প্রতীকের প্রার্থী রিয়াজুল ইসলাম মাসুমের সমর্থকদের বিরুদ্ধে এ হামলার অভিযোগ ওঠে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিকেলে দত্তপাড়া এলাকায় আসন্ন সদর উপজেলার নির্বাচনে আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী জামিল হোসেন মিলনের ক্যাম্প করছিলেন তার সমর্থক শাহিন আলম। এ সময় বেশ কয়েকজন এসে প্রথমে নির্বাচনী ক্যাম্প করতে বাঁধা দেয় এরপর শাহিন আলমকে বেধরক মারপিট করে চলে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে অবস্থান নিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
ভুক্তভোগী শাহিন আলম বলেন, আমি আনারস প্রতীকের ক্যাম্প তৈরি করছিলাম। এসময় একটি সাদা প্রাইভেটকারে গোলাপ মেম্বারসহ দুইজন এসে বলে এখানে ক্যাম্প করা যাবে না। তাদের নিষেধ অমান্য করে কাজ শুরু করলে আমাকে মারপিট করে। আমরা কী স্বাধীনভাবে ভোটের জন্য কাজ করতে পারব না?
খবর শুনে ঘটনাস্থলে আসেন আনারস প্রতীকের প্রার্থী জামিল হোসেন মিলন। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, এই এলাকায় যাতে আমার ভোটে কেউ কাজ করতে না পারে সেজন্য প্রতিপক্ষ দোয়াত কলম প্রতীকের প্রার্থী রিয়াজুল ইসলাম মাসুমের লোকজন আগে থেকেই হুমকি দিয়ে আসছিল। আজ সরাসরি হামলাই করল। আমি রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ করব। নির্বাচন সুষ্ঠু পরিবেশ যারা বিঘ্নিত করতে চায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আহ্বান জানাব প্রশাসনের কাছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযোগ অস্বীকার করে দোয়াত কলম প্রতীকের প্রার্থী রিয়াজুল ইসলাম মাসুম ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি সারাদিন নির্বাচনী প্রচারণা নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। কিছুক্ষণ আগে জানতে পারলাম ব্যক্তিগত অর্থনৈতিক লেনদেনকে কেন্দ্র করে একটি ঘটনা ঘটেছে। একটি মহল বিষয়টিকে ভিন্ন খাতে নেওয়ার চেষ্টা করছে।
সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলেও জানান তিনি।
নির্বাচনের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইশতিয়াক আহমেদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, খবর শুনে খুব দ্রুত ঘটনাস্থলে যাই। যে অপরাধ সংগঠিত হয়েছে তাতে অপরাধীদের ৬ মাসের কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা বিধান আছে কিন্তু যেহেতু আসামিদের কাউকে পাওয়া যায়নি এবং অপরাধ আমাদের সামনে সংঘটিত হয়নি সেজন্য আমরা সাজা দিতে পারিনি। তাই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জেলা নির্বাচন অফিসার ও নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ শেখ ঢাকা পোস্টকে বলেন, আনারস প্রতীকের প্রার্থী জামিল হোসেন এই ঘটনায় অপর প্রার্থী রিয়াজুল ইসলামের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গোলাম রাব্বানী/আরকে