‘কলেজে রেজাল্ট দিছে, আমি আর বাঁচতে পারলাম না’
মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলায় পরীক্ষায় ফেল করায় অনামিকা ঘোষ (১৮) নামে এক কলেজছাত্রী আত্মহত্যা করেছেন। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার গালা ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
অনামিকা ঘোষ উপজেলার গালা ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের অজিত ঘোষের মেয়ে। তিনি ঝিটকা খাজা রহমত আলী কলেজের একাদশ শ্রেণির মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন।
পুলিশ ও পরিবারিক সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার ঝিটকা খাজা রহমত আলী কলেজের একাদশ শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণিতে ওঠার পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হয়েছে। খবর শুনে অনামিকা নিজের ফলাফল দেখতে যান এবং ফলাফলে তিনি উত্তীর্ণ হতে পারেননি। পরীক্ষায় ফেল করায় অভিমান করে বাড়িতে ফিরে পরিবারের কারও সঙ্গে কথা না বলে ঘরে প্রবেশ করেন অনামিকা। দুপুর ২টার দিকে খাওয়ার জন্য পরিবারের লোকজন ডাকাডাকি করেন। কিন্তু তিনি সাড়া না দেওয়ায় ঘরের দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করেন পরিবারের সদস্যরা। পরে তারা দেখতে পান ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না পেছানো ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে। এরপর পরিবারের লোকজন চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসে এবং পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ গিয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করে।
হরিরামপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ নূর-এ আলম জানান, ওই কলেজছাত্রীর রুম থেকে মরদেহসহ একটি চিরকুট উদ্ধার করা হয়েছে। সেই চিরকুটে লেখা ছিল, ‘কলেজে রেজাল্ট দিছে, আমি ফেল করেছি। তাই আমি আর বাঁচতে পারলাম না।’ প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, মেয়েটি পরীক্ষায় ফেল করার কারণে অভিমানে আত্মহত্যা করেছেন। তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
সোহেল হোসেন/আরএআর