সেই সঞ্জয়ের এলাকায় পুলিশ মোতায়েন
ফেসবুক স্টোরিতে স্ট্যাটাস দিয়ে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে কারাগারে যেতে হয়েছিল শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার ব্যবসায়ী সঞ্জয় রক্ষিতকে। অঙ্গীকারনামা দিয়ে জামিনে মুক্তি মিললেও যে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এখন তার বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) রাতে ভেদরগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিন্টু মন্ডল ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ভেদরগঞ্জ উপজেলার মহিষার ইউনিয়নের সাজনপুর এলাকার সঞ্জয় রক্ষিত তার নিজের ফেসবুক আইডির স্টোরিতে লালন শাহের একটি গানের অংশ বিশেষ লিখে পোস্ট করেন। ওই পোস্টকে কেন্দ্র করে এলাকায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিঘ্ন হওয়ার শঙ্কায় রোববার (২৮ এপ্রিল) সঞ্জয় রক্ষিতকে আটক করে ৫৪ ধারায় কারাগারে পাঠায় পুলিশ। পরদিন সোমবার ভেদরগঞ্জের আমলি আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাকিব হোসেন ভবিষ্যতে সামাজিক সম্প্রীতি নষ্ট হয় এমন কাজ করবেন না- মর্মে অঙ্গীকারনামা প্রদান সাপেক্ষে তার জামিন মঞ্জুর করেন। এরপর দাপ্তরিক কাজ সম্পন্ন করে মঙ্গলবার সকালে কারাগার থেকে মুক্তি পান সঞ্জয় রক্ষিত। সঞ্জয় রক্ষিত বাড়িতে গেলে যে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে তার বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়।
ওসি মিন্টু মন্ডল ঢাকা পোস্টকে বলেন, সঞ্জয় রক্ষিতের বাড়িসহ এলাকায় যে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ১৬ জন পুলিশ সদস্য সার্বক্ষণিক নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন।
প্রসঙ্গত, সঞ্জয় রক্ষিত তার ফেসবুক স্টোরিতে বাউল লালন শাহের ‘সব লোকে কয় লালন কী জাত সংসারে’ গানের ‘সুন্নতে খাতনা দিলে যদি হয় মুসলমান, তাহলে নারী জাতির কী হয় বিধান’ লাইন দুইটি লিখে পোস্ট করেন। এই পোস্টে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানা হয়েছে দাবি করে থানায় মোখিক অভিযোগ করেছিলেন স্থানীয় কয়েকজন।
সাইফ রুদাদ/আরএআর