চন্দ্রগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়কসহ ৩ নেতা বহিষ্কার
ছাত্রলীগ নেতা এম সজীব হত্যা মামলায় অভিযুক্ত লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক কাজী মামুনুর রশিদ বাবলুসহ তিনজনকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। রোববার (২৮ এপ্রিল) বিকেলে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের দপ্তর সম্পাদক আজিজুল হক আজিজ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি জানানো হয়।
বহিষ্কৃত অন্যরা হলেন- চন্দ্রগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্যসচিব তাজুল ইসলাম তাজু ভূঁইয়া ও চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহজাহান সাজু।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, সংগঠনের শৃঙ্খলা ও গঠনন্ত্র পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগ থাকায় কাজী মামুনুর রশিদ বাবলু, তাজু ভূঁইয়া ও শাহজাহান সাজুকে দল থেকে বহিষ্কার করা হলো। একইসঙ্গে চন্দ্রগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি বিলুপ্ত করা হলো। স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু ও সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রফমান বাবুর নির্দেশনায় অভিযুক্তদের বহিষ্কার ও কমিটি বিলুপ্তির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের দপ্তর সম্পাদক আজিজুল হক আজিজ বলেন, ছাত্রলীগ নেতা হত্যার ঘটনায় বহিষ্কৃতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে জেলা কমিটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতেই তাদের দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ১২ এপ্রিল রাতে চন্দ্রগঞ্জ থানাধীন পাঁচপাড়া গ্রামের যৈদের পুকুরপাড় এলাকায় ছাত্রলীগ নেতা সজীব, সাইফুল পাটোয়ারী, মো. রাফি ও সাইফুল ইসলাম জয়ের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় অভিযুক্তরা। একপর্যায়ে সজীবকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। এ সময় তাকে বাঁচাতে গেলে অন্যদের ওপরও গুলি চালানোর অভিযোগ রয়েছে। এ ঘটনায় সজীবের মা বুলি বেগম বাদী হয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের কাজী বাবলুসহ ১১ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন। এতে ২০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। ১৬ এপ্রিল দিবাগত রাত ২টার দিকে ঢাকার পপুলার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সজীব মারা যান। এ মামলায় বিভিন্ন সময় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা তাজু ভূঁইয়াসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
হাসান মাহমুদ শাকিল/এমজেইউ