চোখের পানির উসিলায় আসমানের পানি চাইলেন হাজারো মানুষ
বৈশাখের শুরুতেই তীব্র তাপপ্রবাহে অসহ্য গরমে অতিষ্ঠ উপকূলের খেটে খাওয়া মানুষ। প্রখর রোদ আর অনাবৃষ্টিতে নষ্ট হচ্ছে বিভিন্ন ফসল। তীব্র এই গরম থেকে পরিত্রাণের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে কুয়াকাটা বঙ্গবন্ধু মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠের খোলা আকাশের নিচে ইসতিসকার নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিরা।
শুক্রবার সকাল ৯টায় নামাজ শেষে অনাবৃষ্টি ও প্রচণ্ড খরা থেকে রেহাই পেতে মহান আল্লাহর কাছে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
নামাজ ও মোনাজাত পরিচালনা করেন, কুয়াকাটা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সাবেক পেশ ইমাম ও খতিব মাওলানা রফিকুল ইসলাম সরোয়ারি। নামাজ ও দোয়ায় ছাত্র, যুবকসহ শহরের আশপাশের শতশত মুসল্লিরা অংশগ্রহণ করেন।
তাওবাতুন নাসুহা বা একনিষ্ঠ তাওবার মাধ্যমে আল্লাহর কাছে রহমতের বৃষ্টি কামনা করে ২ রাকাত নফল নামাজ আদায় করা হয়। মোনাজাতে মুসল্লিরা কান্নায় ভেঙে পড়েন এবং তওবা ও ক্ষমাপ্রার্থনা করেন। এ সময় প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে মুক্তিসহ দেশ ও জাতির কল্যাণে দোয়া করা হয়।
নামাজে অংশ নেওয়া মুসল্লিরা জানান, প্রচণ্ড দাবদাহ ও অনাবৃষ্টির কারণে শুকিয়ে যাচ্ছে মাঠঘাট কৃষিজমি। তীব্র খরায় ফসল উৎপাদন নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষক। গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন মানুষ। এখন চাষাবাদ করতে পারছেন না। তাই আল্লাহর অশেষ রহমতের জন্য এ নামাজ আদায় করা হয়েছে।
নামাজ শেষে ইমাম রফিকুল ইসলাম সরোয়ারী বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে আল্লাহর রহমত ও সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য আমরা এ নামাজের আয়োজন করেছি। আমাদের চোখের পানির বিনিময়ে আল্লাহর কাছে রহমতের বৃষ্টি চেয়েছি। আশা করছি আল্লাহ তার বান্দাদের নিরাশ করবেন না।
এসএম আলমাস/এমএসএ