স্বাস্থ্য-পুষ্টি জ্ঞানে সমৃদ্ধ হচ্ছেন রংপুরের নারীরা
রোজিনা, আরিফা, মিনা, ফরিদা ইয়াসমিন এরা সবাই একাধারে গৃহিণী আবার কৃষক। সেই সঙ্গে কমিউনিটি সাপোর্ট গ্রুপের সদস্য। পুষ্টি বাগানের দায়িত্ব পালন করছেন তারা। তাদের নেতৃত্বে চলছে বিভিন্ন এলাকায় নারী ও শিশুর পুষ্টি উন্নয়নের কাজ। সেই সঙ্গে কিশোর-কিশোরীদের শারীরিক-মানসিক পরিবর্তন ও করণীয় সম্পর্কে পরামর্শ দেওয়া তাদের কাজ। খাবারের পিরামিড থেকে পুষ্টি ঘাটতি মেটাতে করণীয় ও সুষম খাদ্য গ্রহণ সম্পর্কে ধারণা দেওয়ার কাজও করেন তারা।
শিক্ষার্থীদের কৈশোরকালীন স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও জেন্ডার সমতা নিয়ে ‘জেন্ডার ইকুইটি মুভমেন্ট ইন স্কুলস (জেমস)’ সেশন করছেন এ বিষয়ে বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বিদ্যালয়ের জেমস শিক্ষকরা। বিদ্যালয়ে কারাতে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কিশোরীরা হয়ে উঠেছে আত্মবিশ্বাসী। প্রশিক্ষিত বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির (এসএমসি) সদস্যরাও শিক্ষা ও শিক্ষার্থীদের মান উন্নয়নে সক্রিয় ভূমিকা রাখছেন। রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার হাড়িয়ারকুটি উজিয়ালপাড়া এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে এর প্রভাব দেখা যায়।
জয়েন্ট অ্যাকশন ফর নিউট্রেশন আউটকাম (জানো) প্রকল্পের মাধ্যমে রংপুর জেলার তারাগঞ্জ ও গঙ্গাচড়া উপজেলায় কমিউনিটি সাপোর্ট গ্রুপের মাধ্যমে এমন উন্নয়ন ঘটেছে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে কিশোর-কিশোরীর নেতৃত্বের বিকাশ, স্বাস্থ্য-পুষ্টি জ্ঞান লাভ ও শারীরিক-মানসিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে।
জানো প্রকল্পের মাধ্যমে গ্রামের অসচ্ছল, দরিদ্র নারীরাই বেশি লাভবান হচ্ছেন। প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিশেষ করে গ্রামের অসচ্ছল, দরিদ্র নারীদের মধ্যে সচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতেই জানো প্রকল্প। এই মেগা প্রকল্পের উপকারভোগী নারীদের আর্থিক বুনিয়াদ সুসংহত হয়েছে। তাদের বাড়িতে যেন দুধে-ভাতে বাঙালি আর মাছে-ভাতে বাঙালির পরিবেশ। প্রকল্প কার্যক্রমে দুই-তৃতীয়াংশ অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টির মধ্য দিয়ে অগ্রগামী হয়েছেন নারীরা।
রংপুর বিভাগের সার্বিক পুষ্টি পরিস্থিতি তথা আর্থ সামাজিক অবস্থা এখনো বেশ নাজুক। বাংলাদেশ ডেমোগ্রাফিক অ্যান্ড হেলথ সার্ভে (বিডিএইচএস) ২০২২ এর তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছে (কৃশকায়) ১১% শিশু, স্বল্প ওজন ২২% শিশু, খর্বকায় ২৪% শিশু এবং কৈশোরকালীন গর্ভধারণের হার ২৩% কিশোরীর। পাশাপাশি বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ২০২০ সালের প্রতিবেদন অনুসারে গড়ে বাংলাদেশের ২৮ ভাগ শিশু অপুষ্টিতে ভুগছে।
পাল্টে গেছে রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার হাড়িয়ার কুটি ইউনিয়নের উজিয়ালপাড়া, মাস্টারপাড়া গ্রামের চিত্র। জানো প্রকল্পের মাধ্যমে প্রকল্পভুক্ত সরকারের দেওয়া কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোর কমিউনিটি গ্রুপ (সিজি) বা ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যদেরকে নিয়ে কমিউনিটি স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়সহ সকল প্রকার কাজ করে এবং জেন্ডার ইকুইটি মুভমেন্টের ওপর প্রশিক্ষণ প্রদান করে। এতে করে সিজি-এর সদস্যরা সক্রিয় হয়ে কমিউনিটি ক্লিনিকের কার্যক্রম সম্পর্কে নিয়মিত খোঁজ-খবর রাখছেন।
তারাগঞ্জ উপজেলার হাড়িয়ারকুটি ইউনিয়ানের উজিয়ালপাড়া গ্রামের রোজিনা বেগম ঢাকা পোস্টকে বলেন, জানো প্রকল্পের নানা কার্যক্রমের কারণে সরকারের দেওয়া কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোর কার্যক্রম অত্যন্ত সক্রিয় হয়েছে। সাধারণ মানুষ এখানে এসে ভালোভাবে চিকিৎসা নিতে পারছেন। আমরা কমিটির লোকজন সবসময় তাদের খোঁজ খবর নিচ্ছি।
আত্মবিশ্বাসী হচ্ছেন নারীরা
জানো প্রকল্পের মাধ্যমে এলাকায় পুষ্টি বাগান করে নিজেকে বদলে দিচ্ছেন তারা। মাস্টারপাড়া এলাকা পুষ্টি বাগান করা আকলিমা বলেন, জানো প্রকল্প যখন পুষ্টিবাগান করার কথা জানিয়েছিল তখন অনেকে আগ্রহী ছিল না। আমরা ২০ জন নারী বাগান শুরু করি। এরপর থেকে শুরু করে এখন সবাই বসতবাড়িতে এই পুষ্টি বাগান তৈরি করছে। আর কমিউনিটি সাপোর্টের (সিএসজি) সদস্যরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে মানুষের খোঁজখবর রাখছেন এবং সচেতনতা তৈরিতে কাজ করছেন।
রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার উজিয়ালপুর গ্রামে স্বামীসহ বসবাস করেন জিমোতারা বেগম। তিনি এক মাসের অন্তঃসত্ত্বা। এরই একপর্যায়ে এক প্রতিবেশীর মাধ্যমে উজিয়াল মধ্যপাড়া কমিউনিটি সাপোর্ট গ্রুপের (সিএসজি) সদস্যরা তার গর্ভবতী হওয়ার খবর জানতে পারেন। তখন সিএসজি সদস্যরা তার সঙ্গে দেখা করে বাচ্চা পেটে আসার পর কমপক্ষে ৪ বার গর্ভকালীন চেকআপ করানোর তথ্য জানান। এ সময় গর্ভবতী মায়ের যত্নের বিষয় তুলে ধরেন। সেই সঙ্গে আরও জানান, শিশুর বয়স ৬ মাস পূর্ণ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মায়ের দুধের পাশাপাশি অন্যান্য স্বাভাবিক পারিবারিক খাবারও শিশুকে দিতে হয়। কারণ এ সময়ে শিশুর শরীরের চাহিদা শুধু মায়ের দুধের মাধ্যমে পরিপূর্ণ হয় না।
গ্রামের কমিউনিটি ক্লিনিকে জিমোতারার মেয়ের ওজন, উচ্চতা ও মুয়াক মাপাসহ অন্যান্য তথ্য নেওয়া হয়। ছবি ও কার্ড দেখিয়ে বুঝিয়ে বলা হয় ৬ মাসের বেশি বয়সী শিশুর কেন বাড়তি খাবার প্রয়োজন।
এখন আপনার কোনো সমস্যা হয় কি না জানতে চাইলে জিমোতারা ঢাকা পোস্টকে বলেন, কমিউনিটি সাপোর্ট গ্রুপের সদস্যরা আমার চোখ খুলে দিয়েছে। আমি আগে জানতাম না যে বাচ্চা পেটে আসলে এক বা দুই মাস পর পর চেকআপ করতে হয়। তাতে করে বাচ্চা কী অবস্থায় আছে তা জানা যায়। বাচ্চাকে ৬ মাসের পর থেকেই মায়ের দুধের পাশাপাশি অন্যান্য পারিবারিক খাবার খাওয়াতে হবে। এখন আমি জানি যে, কেন আর কী ধরনের খাবার আমার শিশুকে দিতে হবে।
জিমোতারার মতো বাংলাদেশের লাখ লাখ প্রান্তিক ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্য, পুষ্টি উন্নয়নে ১৯৭১ সাল থেকে শুরু করে পাঁচ দশক ধরে বাংলাদেশ সরকার, বিশেষ করে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে কাজ করে যাচ্ছে বেসরকারি সংস্থা কেয়ার বাংলাদেশ। স্বাস্থ্য ও পুষ্টিকে একটি মৌলিক মানবাধিকার হিসেবে বিবেচনার পাশাপাশি দরিদ্র, লিঙ্গ বৈষম্য এবং প্রান্তিকীকরণ কমাতেও এটিকে জরুরি বলে মনে করে আন্তর্জাতিক এই উন্নয়ন সংস্থাটি।
দেশের পুষ্টি পরিস্থিতিতে দীর্ঘ মেয়াদি পরিবর্তন আনতে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে সংস্থাটি প্রমাণভিত্তিক উদ্ভাবনী এবং টেকসই মডেল তৈরিতে কাজ করছে। যেমন- কমিউনিটি সাপোর্ট সিস্টেমকে শক্তিশালীকরণ (সিএমএসএস- সিএসজি ও সিজি মডেল)। কেয়ার প্রান্তিক ও দরিদ্র লোকদের একত্রিত করে তাদের চাহিদাগুলো চিহ্নিত করে। এরপর কর্মসংস্থান, জননীতি এবং উন্নয়ন অনুশীলনকে প্রভাবিত করতে তাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে।
জুলাই ২০২২ থেকে ২০২৩ সালের জুনের মধ্যে কেয়ার ৪৮টি প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় কাজ করেছে এবং সরাসরি প্রায় ৫৩ লাখ সুবিধাভোগীর কাছে পৌঁছেছে।
বর্তমানে মা ও শিশুর পুষ্টি উন্নয়নে কেয়ার বাংলাদেশের জানো প্রকল্পটি বিশেষ ভূমিকা রাখছে। রংপুর ও নীলফামারী জেলার ৭টি উপজেলায় মোট ৬৪টি ইউনিয়নে জানো প্রকল্পটি কাজ করছে। এ প্রকল্পের সার্বিক উদ্দেশ্য হলো পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের অপুষ্টি নিরসন এবং গর্ভবতী ও দুগ্ধদানকারী নারী এবং কিশোরীদের পুষ্টি চাহিদা নিরুপণে অবদান রাখা।
জানো প্রকল্পটির (সেপ্টেম্বর ২০১৮-জুন২০২৪) লক্ষ্য অপুষ্টি প্রতিরোধ, স্থানীয় পর্যায়ে পুষ্টিসেবা ও পুষ্টি গভর্ন্যান্সকে শক্তিশালী করার মাধ্যমে মা ও শিশুর পুষ্টি উন্নয়নে কার্যকরী ও সমন্বিত একটি মডেল বা রূপরেখা তৈরি করা, যা এ প্রকল্পের কর্ম এলাকার ৫০% গর্ভবতী নারীদের রক্তস্বল্পতা এবং ২৭.৭% পাঁচ বছরের নিচের বয়সী শিশুদের খর্বায়ন হ্রাস করার লক্ষ্যে কাজ করতে সক্ষম হবে। জানো বিভিন্ন কার্যক্রমে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রথম সারির কর্মী, কমিউনিটি সাপোর্ট গ্রুপের সদস্য, স্কুল, ৭৪টি জেলা ও উপজেলা পুষ্টি সমন্বয় কমিটি এবং ইউনিয়ন ডেভেলপমেন্ট কো-অর্ডিনেশন কমিটিকে সম্পৃক্ত করে তাদের সামর্থ্য ও দক্ষতা বৃদ্ধি করছে, যাতে তারা প্রকল্পে অংশগ্রহণকারী জনগোষ্ঠীর মধ্যে আরও উন্নত ও সমন্বিত সেবা প্রদান করতে পারে।
রংপুর জেলার গঙ্গাচড়া, কাউনিয়া ও তারাগঞ্জ উপজেলার ২০টি ইউনিয়নে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থায়নে অস্ট্রিয়ান ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশনের সহঅর্থায়নে কেয়ার অস্ট্রিয়া এবং প্ল্যান ইউকের সহায়তায় এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে কেয়ার বাংলাদেশ, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ এবং ইকো সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ইএসডিও)। চলতি বছর জুনে শেষ হচ্ছে এ প্রকল্পের মেয়াদ। জানো প্রকল্পে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের অপুষ্টি নিরসন, গর্ভবতী ও দুগ্ধদানকারী নারী এবং কিশোরীদের পুষ্টি চাহিদা নিশ্চিতকরণে সরকারের দ্বিতীয় জাতীয় পুষ্টি কর্ম-পরিকল্পনা (এনপিএএন-২) বাস্তবায়নে সহায়ক প্রকল্প হিসেবে কাজ করে চলেছে। এ প্রকল্প বাস্তবায়নে কিশোরীরা উপকৃত হয়েছে। এর ফলে তারা পুষ্টি-সংবেদনশীল ও পুষ্টি নির্ভর সেবাগুলো সম্পর্কে জানতে পারছে এবং প্রয়োজন মতো সেবা নিতে পারছে।
জানো প্রকল্পের দক্ষতা উন্নয়ন বিষয়ক ব্যবস্থাপক আনিসুর রহমান ঢাকা পোস্টকে জানান, প্রকল্পটি সরকারের সঙ্গে যৌথ অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে কমিউনিটি সিস্টেম ও কমিউনিটি হেলথ সিস্টেমকে শক্তিশালীকরণের মাধ্যমে বহুখাত ভিত্তিক পুষ্টি সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সরকারের প্রচেষ্টাকে বাস্তবায়নে সহযোগী হিসেবে কাজ করছে।
জানো প্রকল্পের ফুড বেইজ নিউট্রেশন কনসালটেন্ট শফিকুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, এই প্রকল্পের মাধ্যমে রংপুর ও নীলফামারী জেলার ১৪টি উপজেলা, ৬৪টি ইউনিয়ন পর্যায়ে বার্ষিক পুষ্টি কর্ম-পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং দ্বিমাসিক সভার আয়োজন, জেলা-উপজেলা পুষ্টি সমন্বয় কমিটির সদস্যদের প্রশিক্ষণ প্রদান, উপজেলা ও কমিউনিটি ক্লিনিক পর্যায়ে কমিউনিটি সাপোর্ট গ্রুপের (সিএসজি) বর্তমান অবস্থা পর্যালোচনা সভা করা হয়েছে। পাশাপাশি সিএসজি পুনর্গঠন, কৃষক প্রশিক্ষণ ও বসতভিটায় সবজি চাষ, স্কুল পর্যায়ে সবজি বাগান, বিভিন্ন দিবস/সপ্তাহ উদযাপন, স্কুল ও মাদ্রাসায় জেমস কার্যক্রম, উন্নয়নের জন্য নাটক (টিএফডি) দলের জন্য উপকরণ বিতরণ করা হয়। এ ছাড়া স্কুল ও মাদ্রাসায় কিশোর-কিশোরী কর্নার কার্যক্রম, বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও ক্যাম্পেইন কার্যক্রম, করোনা ভাইরাস সচেতনতা নানা কার্যক্রম করেছে।
রংপুরের সিভিল সার্জন ডা. মো. ওয়াজেদ আলী ঢাকা পোস্টকে বলেন, জানো প্রকল্পের মাধ্যমে তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্য-পুষ্টি সম্পর্কিত জ্ঞান ছড়িয়ে পড়েছে। তারা পুষ্টি বাগানের মাধ্যমে শাক-সবজি আবাদ এবং পরবর্তীতে তা খাওয়ার মাধ্যমে তাদের পুষ্টি নিশ্চিত করছে। ফলে আগামীর প্রজন্ম মেধাবী, স্বাস্থ্যবান হয়ে বেড়ে উঠছে। যা আমাদের এসডিজি অর্জনে সহায়ক হবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা জানো প্রকল্পের সঙ্গে কিশোর-কিশোরীদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে কাজ করে যাচ্ছি। নিজেদের দীর্ঘ উপস্থিতি থেকে, দেশের দরিদ্র ও অসহায় মানুষের জীবনযাত্রায় টেকসই পরিবর্তনের জন্য সরকারের সঙ্গে যৌথভাবে উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে আসছে সংস্থাটি। এই দীর্ঘযাত্রায় কেয়ার বাংলাদেশ উপলব্ধি করেছে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবনে দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলতে তৃণমূল, আঞ্চলিক এবং জাতীয় পর্যায়ে সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করাটাই সর্বোত্তম কৌশল।
এএএ