ঠাকুরগাঁওয়ে ভোটের মাঠে থেকে গেলেন এমপির ৪ আত্মীয়
আওয়ামী লীগের দলীয় নির্দেশনা অমান্য করে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় স্থানীয় সংসদ সদস্যের ৪ আত্মীয় নির্বাচনে থেকে গেছেন।
এই চারজন হলেন বর্তমান সংসদ সদস্য (এমপি) মাজহারুল ইসলামের চাচা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী, আরেক চাচা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সফিকুল ইসলাম ও মোহাম্মদ আলীর ছোট ছেলে আলী আফসার ও তার ফুফাতো বোন উপজেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক সিমা আক্তার সুমনা।
তারা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেননি।
কেন্দ্রের কঠোর নির্দেশনা থাকার পরও নির্বাচনে অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে প্রার্থীরা বলেন, স্থানীয় নেতাকর্মীরা আমাদের চেয়ারম্যান প্রার্থী পদে নাম ঘোষণা করেছে। অনলাইনে চেয়ারম্যান পদে আবেদন করেছি। প্রতীকও পেয়েছি। ইতোমধ্যে দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে নির্বাচনী কাজ শুরু করেছি।
এ ব্যাপারে ঠাকুরগাঁও- ২ আসনের সংসদ সদস্য মাজহারুল ইসলাম জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠিন বার্তা দিয়েছেন। আমি প্রত্যেককে সেই বার্তা পৌঁছে দিয়েছি। নির্দেশ না মানলে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের সন্তান, পরিবারের সদস্য ও নিকট আত্মীয়দের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ দেয় ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। এরপরও কেউ ভোট থেকে সরে না দাঁড়ালে বহিষ্কারসহ সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। দলের এ সিদ্ধান্ত অমান্য করে ঠাকুরগাঁওয়ে এই চারজন প্রার্থী হয়েছেন।
এ বিষয়ে সাংসদ সদস্যের ফুফাতো বোন উপজেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক সিমা আক্তার সুমনা বলেন, আমরা যখন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছি তখন প্রধানমন্ত্রী এই ঘোষণা দেননি। এরই মধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আমাকে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত করা হয়েছে। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনের আগে প্রধানমন্ত্রী যেহেতু নির্দেশনা দেয়নি সেজন্য আমরা কেউ আমাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করিনি।
প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল ২২ এপ্রিল। কিন্তু এই চারজনের কেউই সরে দাঁড়াননি।
এ বিষয়ে সফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমি এমপির পরিবারের নই। আমরা আলাদা খাই। তা ছাড়া নির্বাচন থেকে সরে যেতে হবে—দল থেকে এমন চিঠিও পাইনি। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সময় থাকা অবস্থায় সিদ্ধান্ত পেলে বিষয়টা ভেবে দেখতাম।’
মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘পেপার-পত্রিকায় বিষয়টা দেখেছি। তবে নির্বাচন থেকে সরে যেতে হবে—এটা আমাকে কেউ জানায়নি।’
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দীপক কুমার রায় বলেন, দলের সিদ্ধান্ত প্রার্থীদের জানানো হয়েছে। কিন্তু তারা গুরুত্ব দেননি।
আরিফ হাসান/এমএ