বরাদ্দের আগেই প্রতীক দিয়ে ফেসবুকে প্রচারণা, দুই প্রার্থীকে শোকজ
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দের দুই দিন আগেই দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর ছবিসহ প্রতীক ব্যবহার করে প্রচারণার ঘটনা ঘটেছে। এতে চেয়ারম্যান প্রার্থী শরাফ উদ্দিন আজাদ সোহেল ও অধ্যাপক আবদুল ওয়াহেদকে কারণ দর্শানো (শোকজ) নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তাদেরকে তিন দিনের মধ্যে আচরণবিধি লঙ্ঘন নিয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শনিবার (২০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রিটার্নিং কর্মকর্তা ও রামগতি উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাহবুব রোমান চৌধুরী সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
শরাফ উদ্দিন আজাদ রামগতি উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান এবং ওয়াহেদ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান।
রিটার্নিং কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ২৩ এপ্রিল রামগতি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে। এর আগেই সোহেল কাপ প্রতীক ও ওয়াহেদ দোয়াত কলম প্রতীক দিয়ে পোস্টার ছাপিয়েছেন। এটি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা ২০১৩ এর ২২ এবং ২০১৬ এর বিধি ৫(১) ও ৫(২) লঙ্ঘন। এজন্য কেন ওই দুই প্রার্থীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্বাচন কমিশনে লেখা হবে না তা আগামী ৩ দিনের মধ্যে ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য তাদেরকে নির্দেশ দেওয়া হলো। এ শোকজ নোটিশের অনুলিপি নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিবসহ আরও ৫টি দপ্তরে দেওয়া হয়েছে।
শরাফ উদ্দিন আজাদ সোহেল বলেন, যেহেতু এখনো প্রতীক পাইনি, সেহেতু প্রতীক ব্যবহার করে প্রচারণার প্রশ্নই আসে না। কে বা কারা প্রতীক লাগিয়ে আমার নামে ফেসবুকে প্রচার করেছে। আমি এর কিছুই জানি না।
চেয়ারম্যান প্রার্থী আবদুল ওয়াহেদ বলেন, আমি গতবারও দোয়াত কলম নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছি। এবারও আমার পছন্দের প্রতীক দোয়াত কলম। অন্য কেউ এই প্রতীকের জন্য আবেদন করেননি। হয়তো এ জন্যই কে বা কারা প্রতীক লাগিয়ে পোস্টার করে ফেসবুকে ছড়িয়ে দিয়েছে। বিষয়টি আমার জানা ছিল না। যতটুকু সম্ভব সবাইকে নিষেধ করা হয়েছে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন না করতে।
রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহবুব রোমান চৌধুরী বলেন, বরাদ্দ দেওয়ার আগেই প্রতীক দিয়ে পোস্টার করে দুই প্রার্থীর নামে ফেসবুকে প্রচারণা চালানো হয়েছে। বিষয়টি আমাদের নজরে আসলে আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনায় ওই প্রার্থীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ করা হয়েছে।
প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে রামগতি উপজেলায় সোহেল ও ওয়াহেদ ছাড়াও আরও তিনজন চেয়ারম্যান প্রার্থী রয়েছেন। তারা হলেন- জামশেদা জাং চৌধুরী, রোকেয়া বেগম ও মাহবুবুর রহমান টিপু। এ উপজেলায় ১০ জন ভাইস চেয়ারম্যান ও তিনজন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী রয়েছেন।
হাসান মাহমুদ শাকিল/আরএআর