ভাঙা সেতুতে ভোগান্তি, ঝুঁকি নিয়ে চলাচল
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার নওদা শালুয়া ও নলকা খালের ওপর নির্মিত সেতু ভেঙে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলার সঙ্গে সেতুর পূর্ব পাশের ভারি যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। বাধ্য হয়ে বাঁশের মাচাল দিয়ে চলাচল করছেন ওই এলাকার মানুষ। ভারি যানবাহন চলাচল না করায় ভোগান্তিতে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কয়েক যুগ আগে নির্মিত সেতুটি গত পাঁচ বছর ধরে নড়বড়ে ছিল। এ অবস্থায় স্থানীয় ইটভাটার মাটি বহনকারী ট্রাক চলাচল করায় এবার রমজানের শুরুতেই সেতুটির একাংশ ভেঙে পড়ে। এরপর থেকে ওই রাস্তা দিয়ে ভারি যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তবে অটোরিকশা, ভ্যানসহ ছোটখাটো যানবাহন এখনো চলাচল করছে। বর্তমানে ভাঙা অংশের পরিমাণ ধীরে ধীরে বাড়তে থাকায় ওই ইউনিয়নসহ প্রায় ৪০টি গ্রামের মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। গ্রামের মানুষের সহযোগিতায় সেতুর ভেঙে যাওয়া অংশে বাঁশের মাচাল বিছিয়ে ছোটখাটো যানবাহন চলাচল করছে। তবে খুঁটির নড়বড়ে অবস্থা। এতে আশপাশের কয়েকটি গ্রামের মানুষ ঝুঁকি নিয়ে সেতু পারাপার হচ্ছেন। জরুরি ভিত্তিতে সেতু সংস্কার বা পুনরায় নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন এ অঞ্চলের মানুষ।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল আজিজ বলেন, ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। বারবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করার পরও কাজ হচ্ছে না। মানুষের চলাচলের সুবিধার্থে এলাকাবাসী মিলে সামান্য চলাচলের ব্যবস্থা করেছি। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাচ্ছে স্কুল-কলেজ ও মাদরাসার শিক্ষার্থীরা। যেকোনো মুহূর্তে সেতু ভেঙে মানুষের মৃত্যু হতে পারে।
পাঙ্গাসী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম নান্নু বলেন, সেতুটি অনেক পুরোনো। এজন্য ভেঙে গেছে। এ সেতু দিয়ে হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে। জরুরি ভিত্তিতে বিষয়টির স্থায়ী সমাধান করতে হবে। আধুনিক সেতু নির্মাণের জন্য বিষয়টি সংশিষ্টদের জানানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে রায়গঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল লতিফ বলেন, সেতুর যাবতীয় তথ্যাদি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে। আশা করা যায় দ্রুততম সময়ের মধ্যে এটি বাস্তবায়ন হবে।
রায়গঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খান বলেন, সেতু পরিদর্শন শেষে এলজিইডিকে জানানো হয়েছে। জনগণের ভোগান্তি নিরসনে দ্রুত বিষয়টি করা হবে।
শুভ কুমার ঘোষ/আরএআর