স্ত্রীকে নিয়ে হানিমুনে যাওয়া হলো না ইমরানের
গত রমজানে ঘরোয়া পরিবেশে বিয়ে সম্পন্ন হয় নিপা-ইমরান দম্পতির। বিয়ের ৪০ দিনের মাথায় হানিমুনে যাওয়ার পথে সড়কে ঝড়ে গেল এই দুই প্রাণ। ইমরান হোসেন বিমান বাহিনীর সদস্য।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকাল ১১টার দিকে ময়নাতদন্ত শেষে নিহত ইমরানের মরদেহ তার বাবার কাছে তুলে দেওয়া হয়। পরে তার মরদেহ বিমান বাহিনীর বিশেষ অ্যাম্বুলেন্স করে দাফনের জন্য রাঙামাটি নিয়ে যাওয়া হয়। এছাড়া তার স্ত্রী নিপার মরদেহ তার বাবার বাড়িতে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় জানাজার নামাজ শেষে দাফন করা হয়।
গত ৮ মার্চ রাজাপুর উপজেলার সাংগর গ্রামের আ. বারেকের মেয়ে নিপা আক্তারের (২২) সঙ্গে বিয়ে হয় রাঙামাটি জেলার বাহাপানা এলাকার নুরুল ইসলামের একমাত্র ছেলে বিমান বাহিনীর সৈনিক ইমরানের সঙ্গে।
আরও পড়ুন
ঝালকাঠির সদর হাসপাতালে মৃতদেহ নিতে আসা ইমরানের বাবা নুরুল ইসলাম ছেলের শোকে পাথর হয়ে গেছেন। তিনি জানান, তার ৩ মেয়ে ও সবার ছোট এই একমাত্র ছেলে ইমরান। তার মৃত্যুতে মা ও বোনরা পাগল প্রায়।
এর আগে বুধবার (১৭ এপ্রিল) ঝালকাঠির গাবখান টোল প্লাজায় সড়ক দুর্ঘটনায় ইমরান হোসেন (২৬) ও তার স্ত্রী নিপা আক্তারসহ পরিবারের ছয়জন সদস্য নিহত হন।
বাকি নিহতরা হলেন, নিপা আক্তারের বড় বোন নাহিদা আক্তার সোনিয়া (২৮) তার স্বামী হাসিবুর রহমান (৩৩), সন্তান তাকিয়া (৪) ও তাহমিদ (১)।
নাঈম হাসান ঈমন/এমএসএ